প্রকাশিত: ২৪/০৮/২০১৭ ৬:৪৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৪০ পিএম
ফাইল ছবি

বিশেষ প্রতিবেদক :: অবৈধ টমটম চালক ও তাদের ইন্ধন দাতাদের দৌরাত্য¡ দেখেছে কক্সবাজার শহরবাসী।

২৩ আগস্ট বুধবার সকালে অবৈধ টমটম চালকরা কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শহরের প্রধান সড়ক দখলে নিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

মারমুখো বেপরোয়া চালক-মালিকরা শহরের কালুর দোকান,খুরুস্কুল সংযোগ সড়ক মুখ ও বার্মিজ মার্কেট এলাকায় ৩/৪ টি বৈধ টমটম ভাংচুর করে। সিএনজি, রিক্সা,মাহিন্দ্র চলাচলেও তারা বাঁধার সৃষ্টি করে। এসময় পুরো শহরে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

দুপুর সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার মডেল থানা রোড়ের সম্মুখ এলাকায় প্রায় অর্ধ শতাধিক নৈরাজ্যকারীর অংশ গ্রহণে জঙ্গী মিছিলটি পুলিশ লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।তাদের নৈরাজ্য চলে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।

এর পর জন-ভোগান্তি কমাতে প্রশাসনের নির্দেশে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় এক ডজনের সিটি সার্ভিস চালু হলে এবং বৈধ টমটম চালক ও মালিকরা এক যোগে রাস্তায় টমটম নামালে নৈরাজ্যকারীরা পালিয়ে যায়।

শহর ও শহরতলীতে অবৈধ কয়েক হাজার টমটম চলাচলে জেলা প্রশাসন, পৌর-কর্তৃপক্ষ ও পুলিশী হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে আকস্মিক মাঠে নামে হেলদি শহরে নিত্য দিনের যানজটের প্রেতাত্মারা।

বিভিন্ন সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কক্সবাজার শহর ও শহরতলীতে চলাচলের জন্য কক্সবাজার পৌরসভা বিভিন্ন সময় নামে- বেনামে অন্তত আড়াই হাজার ইজিবাইক টমটম চলাচলের লাইসেন্স দেয়।

পৌর পর্ষদের আখের গোছানোর লাইসেন্স খ্যাত এই টমটমের লাইসেন্স এখন যেন সোনার হরিণ। এর বাইরেও ভুঁয়া লাইসেন্স ও লাইসেন্স বিহীন অন্তত আরো চার হাজার টমটম শহর ও শহরতলীতে চলাচল করে।

ফলে টমটমের ভারে অব্যাহত যানজটে কক্সবাজারের উন্নয়নের গতি থমকে যেতে থাকে। বিগত ৩/৪ দিন আগে যানজট মুক্ত শহর গড়তে অবৈধ টমটমের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে প্রশাসন। আটক করে প্রায় শতাধিক টমটম। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অবৈধ টমটমের মালিক ও চালকরা।

সূত্র জানায়-এই অবৈধ টমটম গ্রুপটি তাদের দাবি শহরে জোরালো করতে আশ্রয় নেয় কক্সবাজারের সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতার পুত্র ও তাঁর স্কুলে চাকুরীতে কর্মরত এক ওলামা লীগ নেতার। তাদের আস্কারা পেয়ে গতকাল হঠাৎ শহরবাসীকে জিম্মি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে অবৈধ টমটমের উপকার ভোগীরা।

এদিকে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানান- শহরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এই অবৈধ টমটম কোনক্রমেই চলতে দেয়া হবেনা। এর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি-নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও তাদের হোতাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...