প্রকাশিত: ১৭/১২/২০২১ ৪:৪২ পিএম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হোটেলগুলোতে দুই হাজার টাকার রুম ১৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। তিন দিনের ছুটিতে বর্তমানে কক্সবাজারে আনুমানিক ৪ লাখ পর্যটক অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে কোথাও রুম খালি নেই। রুম ভাড়া না পেয়ে অনেকে সৈকতে গল্প-গুজবে রাত কাটিয়েছেন। পর্যটকরা বলছেন, মৌসুমকে কেন্দ্র করে হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমের দাম দ্বিগুণের চেয়েও বেশি হাঁকাচ্ছে। অপরদিকে যাতায়াত ভাড়াও তুলনামূলক বেশি।

অভিযোগ আছে, শীত মৌসুমে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকদের কাছে থেকে বেশি ভাড়া আদায় করতে সিন্ডিকেট কাজ করছে। এরা আড়ালে থেকে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করেন। এছাড়া এক শ্রেণির দালাল চক্র পর্যটকদের বিভিন্ন হোটেলে রুম বুকিং করে দিয়ে কমিশন নিয়ে থাকে।

সুত্র জানিয়েছে, বাস কাউন্টারগুলোর সামনে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা পর্যটকদের অপেক্ষায় থাকেন। মূলত তাদের সাথে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে অর্থের লেনদেন হয়। জেলা-উপজেলা থেকে পর্যটনবাহী বাসগুলো এসে পৌঁছানো মাত্রই তাদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি শুরু করে এবং হোটেলে রুম ভাড়া করার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন। অতঃপর হোটেলে পৌঁছে দিয়ে পর্যটকদের সাথে চালকেরা ক্যাশ কাউন্টারে উপস্থিত হন। তখনই কাউন্টারে দায়িত্বরতরা সহজে যা বুঝার বুঝে নেন।

লাবণী পয়েন্টে ইয়েমিন নামে এক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, জিয়া গেস্ট হাউজে একরাতে রুম ভাড়া নিয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা। তারপর রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু রুম ভাড়া নিয়ে ছিলাম দুই দিনের জন্য। তবে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর রুম ভাড়া দেয়।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটক রহিম উদ্দিন বলেন, এক রাতের জন্য একটি রুম ভাড়া নিতে হয়েছে ১৩ হাজার টাকায়। যেটি গত ৩ মাস আগেও রুম ভাড়া ছিল ২ হাজার টাকা।

এদিকে হোটেলের পর এবার খাবারের দাম শুনে পর্যটকদের চক্ষ চড়ক গাছ। ডাল আর আলু ভর্তা দিয়ে বিল নিচ্ছে ৩০০ টাকা। এছাড়াও বর্তমানে গ্রাহক বেশি থাকায় খাবারের প্লেট-গ্লাস ধোয়া ইত্যাদি বিষয়ে অনিহা হোটেল বয়দের মাঝে।

ওয়াহিদুল হক নামে এক পর্যটক বলেন, আগামিতে কক্সবাজার আসলে রান্না করে খাওয়ার জন্য চুলা নিয়ে আসতে হবে। কেননা বর্তমানে খাবার হোটেলে যে পরিস্থিতি দেখছি তাতে মনে হয় ফেরার বাস ভাড়াও তাদের দিয়ে যেতে হবে।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো পর্যটক অভিযোগ করেননি। তারপরও প্রশাসন মাঠে রয়েছে। যারা পর্যটকদের হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুত্র: সিটিজি নিউজ

পাঠকের মতামত

দেশজুড়ে মাদকের ভয়ংকর আগ্রাসন,সীমান্তপথে ঢোকে, ছড়ায় ট্রেনে

মধ্যবয়সী আক্তার হোসেনের হাতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ একটি ফাইল। যাত্রীবেশে চড়েছেন ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনে। ট্রেনে ...

শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াবে ‘এনগেজ টুলকিট’: ব্র্যাক আইইডি

প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষকেরা একাডেমিক কারিকুলামকে প্রাধান্য দিয়ে ও নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ...

কোটবাজার দোকান-মালিক সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহণ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির শপথ গ্রহণ, দায়িত্বভার ...

‘ইয়াবাকান্ডে’ কক্সবাজারে অধিনায়কসহ ৩ শতাধিক র‍্যাব সদস্যকে গণবদলি

ইয়াবা উদ্ধার করে মামলায় কম দেখানো এবং আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) কক্সবাজার ...

কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি খাদ্যসহায়তা ডব্লিউএফপির

 রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব ...