উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন। আগত পর্যটকদের সাথে শিশু-কিশোররাও থাকে হাজার হাজার। এছাড়া জেলা শহরে হাজার হাজার কোমলমতি শিশু বেড়ে উঠছে। অথচ শিশুদের জন্য কোনো চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা নেই কক্সবাজারে। নেই একটি শিশুপার্কও। ফলে কক্সবাজারের শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, পর্যটন শহর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থাকা সত্ত্বেও এখানে শিশুপার্ক না থাকাটাকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, স্থানীয় ছাড়াও এত বড় পর্যটন শহরে শিশুদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক পর্যটক হতাশ হয়ে ফিরে যান। তাই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ও স্থানীয় শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য একটা শিশুপার্ক জরুরি বলে দাবি করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
অপরদিকে, অভিভাবকমহল বলছেন, লাবণী পয়েন্টের জেলা পরিষদের পার্ককে শিশুপার্ক হিসেবে স্থাপন করা হোক। এতে পর্যটকদের সাথে আসা শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।
কিছুদিন আগে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশু পার্কের জন্য জমি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রকল্পটি আলোরমুখ দেখছে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি বুঝিয়ে দিলেই শিশুপার্ক নির্মাণ শেষ হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরে খাসজমির অভাব নেই। নামে-বেনামে এখানকার জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রভাবশালীদের। অথচ শিশুপার্কের জমি পাচ্ছে না প্রশাসন। এটি হাস্যকর।
মডেল হাইস্কুলের অভিভাবক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিকাল হলেই বাচ্চারা খেলাধুলা ও ঘোরাঘুরি করতে চায়। শিশুদের জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক না থাকায় তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। তাই শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য হলেও দ্রুত শিশুপার্ক নির্মাণ করা দরকার।
এনজিও এক্সপাউলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী কানন পাল বলেন, প্রশাসনের প্রতি আমরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি এখানে একটা শিশুপার্ক স্থাপন করা হোক। কিন্তু কি কারণে তারা কর্ণপাত করছেন না তা আমাদের জানা নেই। যে মাঠগুলো আছে সেখানেও শিশুরা খেলাধুলা করতে পারছে না দখলদারদের কারণে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, পর্যটন খাত থেকে সরকার প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। তিনি বলেন, পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে হলেও আমাদের এখানে শিশুপার্ক করা দরকার।
কক্সবাজার জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলেও সত্য আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত একটা শিশুপার্ক হয়নি। শিশুপার্ক ও শিশুদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের শিশুদের মেধার বিকশিত হচ্ছে না। তাই শিশুদের বিনোদনের জন্য এখানে শিশুপার্ক করার দাবি জানাচ্ছি।
কক্সবাজার জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারে শিশুপার্ক না থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাছাড়া শিশু-কিশোরদের প্রয়োজনের তুলনায় খেলার মাঠ নেই বললে চলে। যে দুই-একটা মাঠ আছে তাতেও তাদের খেলার সুযোগ হয় না বিভিন্ন কারণে। তাই এখানে অতি শিগগিরই শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য অন্তত একটা শিশুপার্ক করা দরকার।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, জায়গা না থাকায় শিশুপার্ক স্থাপন করা যাচ্ছে না। আপনারা জায়গা দেখেন। তিনি আরো বলেন, বিমানবাহিনী অনেক জায়গা নিয়ে নিয়েছে। ফলে নতুন করে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জমি পেলেই পার্কটি গড়ে তোলা হবে।
কোরআন পড়া শেষে মসজিদ থেকে ফেরার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় চারজন শিশু নিহত হয়েছে। প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী ...
পাঠকের মতামত