প্রকাশিত: ১২/০৬/২০১৬ ৮:১২ এএম

এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার:

কক্সবাজার জেলায় চলছে ‘রোহিঙ্গা’ শুমারীর চূড়ান্ত ডাটাবেজ তৈরীর কাজ। জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নিজেদের ‘রোহিঙ্গা’ পরিচয় তুলে ধরতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ফেব্রুয়ারী মাস হতে শুমারীর পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

২ জুন থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসুচিকে সফল করতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাথে একযোগে কাজ করছেন আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ। ১০ জুন ডাটাবেজ তৈরীর শেষ দিন হলেও প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া ও জেলাব্যাপী ইউপি নির্বাচন হওয়ায় সঠিক সময়ে ডাটাবেজ তৈরীর কাজ শেষ হয়নি।

এ কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ডাটাবেজ থেকে বাদ পড়া লোকজনকেও অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে ।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর কক্সবাজার স্টাটিস্টিক অফিস সুত্র জানান, উখিয়া উপজেলায় ২১৫টি, টেকনাফে ৩২৫টি, রামুতে ৬৮টি, চকরিয়ায় ৫২টি, পেকুয়ায় ৪টি, মহেশখালীতে ২৯টি, কুতুবদিয়ায় ২টি, কক্সবাজার সদরে ১৯১টিসহ মোট ৮৮৬ টি দল ডাটাবেজ তৈরীর কাজ করছে। ফেব্রুয়ারি মাসে করা খানা তালিকার ভিত্তিতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এ শুমারি কার্যক্রম শুরু হয়।

এর মাধ্যমে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসে এবং রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য ভান্ডার তৈরি হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যে কোন অপরাধ করলেও সহজেই তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে, তাদের পার পাওয়ার সুযোগ থাকবেনা।

এদিকে, শুমারী উপলক্ষে আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের বিলি করা প্রচারপত্রে লেখা হয়েছে, নিবন্ধন না থাকায় সব দিক থেকে তারা বঞ্চিত। কোন জায়গায় মূল্যায়ন নেই। বিনা চিকিৎসা অনেক লোক মারা যাচ্ছে। চলাফেরা করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত বৈদেশিক নাগরিক আইনে তাদের লোকজন আটক হচ্ছে। শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অনেক জঠিলতার অবসান ঘটবে এবং রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে।

রোহিঙ্গা শুমারিতে ছবিসহ প্রায় ৪৬ ধরনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের ঠিকানা, সেখান থেকে আসার কারণ এবং বাংলাদেশে অবস্থানের তথ্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা শুমারীতে নেয়া হচ্ছে। যাদের নাম শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদেকে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেয়া হবে। যা দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

প্রসংগত, গত ২০১৫ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেকে) অনুমোদন পাওয়া ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক শুমারি ২০১৫’ শীর্ষক প্রকল্পটির জন্য বিশ্ব ব্যাংক ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কক্সবাজারের পাশাপাশি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালিতেও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শুমারি চলছে।

পাঠকের মতামত

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...