ডেস্ক রিপোর্ট ::
বখাটের হাত থেকে রক্ষার জন্য সুদুর দ্বীপ ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে লেখাপড়া করতে গিয়েও রেহাই মেলেনি কলেজছাত্রী সাবেরার। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত বখাটে তার দলবল নিয়ে সাবেরাকে অপহরণ করতে যায়। এতে ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও দা দিয়ে কুপিয়ে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
ঈদের পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় সাবেরাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দায়ের কোপ ও ছুরিকাঘাতে তার মুখ, ঘাড় ও হাত ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত নির্মম। একটি মেয়ে প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় তাকে এমন অমানবিকতার মুখে পড়তে হবে- তা চিন্তা করতেও খারাপ লাগে। ” তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত এনায়েতুল্লাহ নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এনায়েতুল্লাহ ও খাইরুল আমিন মহেশখালী দ্বীপের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আটক এনায়েতুল্লাহ স্বীকার করেছে সে মেয়েটিকে দা দিয়ে কুপিয়েছে। ”
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রী সাবেরা হোসনা ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম শহর থেকে বেড়াতে এসেছিল দ্বীপের গ্রামের বাড়িতে। বড় মহেশখালী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই বখাটে খাইরুল আমিন সাবেরার পিছু নেয়। দ্বীপে ঘরের কাছে কলেজ থাকা সত্ত্বেও এসএসসি পাশের পর ওই বখাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে চট্টগ্রাম কাপাসগোলা কলেজে ভর্তি হয় সে। সাবেরা চট্টগ্রামের কলেজটিতে এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এখন।
অপরদিকে, বখাটে খাইরুল আমিন বড় মহেশখালীর মিয়াজির পাড়ার বাসিন্দা। মহেশখালী কলেজ থেকে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয়বারের মতো অংশ নেওয়ার কথা তার। কলেজ ছাত্রী সাবেরার জ্যেষ্ঠ ভাই নাজমুল আহসান জানান, বখাটে খাইরুল আমিন স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তার বোনের পিছু নেয়। ঘটনার সময় বখাটে তার আরো ৪-৫ জন সঙ্গী নিয়ে রাতে তাদের ঘরের আঙ্গিনায় ওত পেতে ছিল। রাত ১০টার দিকে তার বোন সাবেরা ঘরের উঠানে বের হওয়ার পরপরই সশস্ত্র বখাটের দল তাকে অপহরণ করতে ঝাপটে ধরে। এতে সে চিৎকার দিতে শুরু করলে ওরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত এবং দা দিয়ে কোপায়।
পাঠকের মতামত