সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে ভাড়া বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ৪ সন্তানের জননী পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদরের চৌফলদন্ডীর কালু ফকির পাড়ার বেদার মিয়ার কন্যা আরেফা আক্তার (২৬)এর সাথে জালালাবাদ দক্ষিণ লরাবাকের আলতাজ আহমদের ছেলে রাজা মিয়ার ১২ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সুখের সংসারে লেমন (১২), ইমন (১০), সায়েম (৮), ফারহানা (৫) নামে ৪ সন্তানের জন্ম হয়। রাজা মিয়া স্ত্রী-সন্তানদের সুখের আশায় বিগত ৪ বছর আগে মালেশিয়া পাড়ি জমায়। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পরপরই তার স্ত্রী আরেফা আক্তার প্রথমে কলেজ গেইট, পরে ঢালার দোয়ার এবং সর্বশেষ জাগির পাড়ায় ভাড়া বাসায় চলে আসে। ভাড়া বাসায় আসার পর থেকে আরেফা আক্তার পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তার বড় ছেলে লেমন (১২) জানায়, চকরিয়ার ধনিয়ার চর, কৈয়ারবিলের শাহ আলমের পুত্র মিজান প্রায় সময় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করত। এমনকি ছেলেমেয়েরাও অনেক সময় ভাড়া বাসায় তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। কিন্তু মায়ের বকুনীতে তারা কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তবে তারা তার মায়ের পরকিয়ার কথা তাদের নানী মেহেরুন্নেছা ও দাদা আলতাজকে জানিয়েছিল। আরেফা আক্তারের মা মেহেরুন্নেছা জানায় স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তার মেয়ে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ার খবর সে জেনেছে। এছাড়া গত রমজানের আগেও প্রায় দেড় মাস তার মেয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সে হাসির দিঘী এলাকা থেকে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে তার শ^শুর আলতাজের নিকট তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানায় এবং ভবিষ্যতে আর কোন ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে না মর্মে তার মা ও শ^শুরের সামনে শপথ করে। তার আকুতি ও ৪ শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু আবারো সন্তানদের ফেলে গত ৩০ জুলাই তার পরকিয়া প্রেমিকের সাথে বিদেশ থেকে স্বামীর দেয়া ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তার নামে দেয়া ২ লাখ নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। স্বামী রাজা মিয়া মালেশিয়া থেকে কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানায়, সে স্ত্রী-সন্তানদের ভবিষ্যতের আশায় তার নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশে আসার পর থেকেই সে পরকিয়ায় আসক্ত হওয়ার খবরটি জানতে পারে। রাজা মিয়ার পিতা আলতাজ জানান, তার ৪ জন নাতী-নাতনী বর্তমানে কালিরছড়া তাদের নানীর বাসায় কান্নাকাটি করে দিনাতিপাত করছে। ১ ও ২ আগষ্ট অজ্ঞাত পরিচয়ে ০১৮৭১-৭৪৫৬৩২ ও ০১৮২৪-৭৮০৩৮৭ নাম্বারগুলো থেকে ফোন করে রাজা মিয়ার শ^াশুড়ী মেহেরুন্নেছা ও তার পিতা আলতাজের কাছে আরেফাকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন ধরণের মামলা না করতে তাদেরকে হুমকি ধমকি দেয় এবং আরেফাকে চকরিয়া ঢালার দোকান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজা মিয়ার পিতা। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের টু-আইসি এসআই দেবাশীষ সরকার জানান, এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এএসআই মোহাম্মদ নাছিমকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত