
কক্সবাজারে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির দৈত্যাকৃতির তিনটি বাঘা শাপলাপাতা মাছ। যার একটির ওজন ১২০ কেজি, আরেকটির ওজন ৯৫ কেজি এবং অপরটির ওজন ৮০ কেজি। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এত বড় শাপলাপাতা মাছ দেখে অবাক হচ্ছেন পর্যটকরা।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেয়া যায়, একজন বা দুজন নন; একটি মাছ বহন করছে একে একে ৫ থেকে ৬ জন। তাও আবার মাছটি রশি দিয়ে বেধে টাঙানো হয়েছে বাঁশ দিয়ে। তারপর ট্রলার থেকে মাছটি বহন করে ওজন করার জন্য নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টুনে। বিশাল দৈত্যাকৃতির এই মাছটিকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হচ্ছে বাঘা শাপলাপাতা মাছ।
শাপলাপাতা মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পল্টুনে। তাদের সঙ্গে দেখতে যোগ দিয়েছে পর্যটকরাও।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক নুর নাহার বলেন, মাছের নাম জানি না। এই প্রথম জীবনে এতো বড় মাছ দেখলাম কক্সবাজার এসে। মাছটি দেখতে অনেক সুন্দর।
হুমায়ুন নামের পর্যটক বলেন, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম অনেক শুনেছি। তাই এবার পরিবার নিয়ে দেখতে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু এসে দেখলাম দৈত্যাকৃতির বিশাল শাপলাপাতা মাছ। এর আগে কোন দিন এতো বড় মাছ দেখেনি। অনেক ভালো লেগেছে এই মাছ দেখে।
শ্রমিকরা বলছেন, বিশাল দৈত্যাকৃতির মাছ হওয়ায় তা বহন করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আর এই মাছ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।
শ্রমিক আসাদুজ্জামান বলেন, সাগর থেকে ট্রলার যখন ঘাটে আসে তখন এসব বিশাল বিশাল মাছ আমরা ট্রলার থেকে নামিয়ে পল্টুনে রাখি। তবে শাপলাপাতা মাছ বহন করা খুব কষ্ট হয়ে যায়। এতো বড় মাছ ৪ জনও বহন করে পল্টুনে আনতে পারেনা। কমপক্ষে এই মাছ বহন করতে ৬ জনের ওপরে শ্রমিক লাগে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, আগে এই মাছ প্রতিকেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু এখন তা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এর পাশাপাশি এই শাপলাপাতা মাছের চামড়া খুবই মূল্যবান।
মৎস্য ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন নবী বলেন, শাপলাপাতা মাছ অনেক বড় হয়। এই মাছ ৬ প্রজাতির হয়ে থাকে। তার মধ্যে বাঘা প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ খুবই বিরল। এই মাছের উপরের অংশ যে চামড়া রয়েছে তা বিদেশি রফতানি করা যায়। এই চামড়া দিয়ে ব্যাগসহ নানা পণ্যে তৈরি হয়ে থাকে। আর লেজ দিয়ে ওষুধও তৈরি হয়। এই মাছ এখন অনেকটা বিলুপ্তি। সুত্র: সময়টিভি
পাঠকের মতামত