প্রকাশিত: ১৫/০৭/২০২১ ২:১৩ পিএম

কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় কোভিড-১৯ লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর এক লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেভে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউিএফপি)। প্রত্যেক পরিবার পাবে আড়াই হাজার টাকা করে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেসব পরিবার সবচেয়ে ঝুঁকির সম্মুখিন হয়েছে ও যারা ইতোমধ্যে সামাজিব নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সোশ্যাল সেফটি নেট কর্মসূচির আওতায় আসেনি তাদেরকে এই নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

আজ কক্সবাজারের অরুনোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ‘স্পেশাল সাপোর্ট ফর দ্যা হোস্ট কমিউনিটি’ পুনরায় চালু করেছে। কানাডা সরকারের অনুদানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও স্থানীয় অংশীদারদের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আজ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় এই সময়টায় সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। তিনি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি) আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।’
গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসে বাস্তবায়িত এসএসএইচসি কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৬ লক্ষ মানুষকে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা) নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়া হয় ও তার পাশাপামি আইসোলেশন অথবা কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা মানুষদেরকে খাদ্য সহায়তা ও হট মিল বা খিচুড়ি দেওয়া হয়। সরকার ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সোশ্যাল নেট কর্মসূচির পরিপূরক হিসেবে ডব্লিউএফপি ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই কর্মসূচি সাজিয়েছে।

বাংলাদেশ ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ’কোভিড-১৯ এর ফলে কক্সবাজারের সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা পরিবারগুলোর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব মানুষের আমাদের সহায়তা সবচেয়ে বেশি দরকার তাদের পাশে সরকারের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দাঁড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পাঠকের মতামত