প্রকাশিত: ১৮/১০/২০১৬ ৯:১২ পিএম

1443শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে দরগাহমুরা, জুম নগর, পূর্ব নাপিতখালী, ভিলেজার পাড়া, হাজী পাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সরকারী পাহাড়গুলোতে চলছে প্রতিযোগিতামূলকভাবে দখল কার্যক্রম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, হেডম্যান, ভিলেজারসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এ দখল বাণিজ্য অব্যাহত রাখলেও বনবিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। যে কারণে অতি উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পাহাড় কেটে সমতল ভূমি বানিয়ে তা অধিক মূল্যে বিক্রি করছে দেদারছে। অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে পাহাড় কেটে জমি দখল করে ডজন ডজন প্লট বানিয়ে চড়াদামে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ যাবত ইসলামপুর ইউনিয়নে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি অভিযানও চালায়নি। মাঝে মধ্যে বনবিভাগ লোক দেখানে অভিযান চালালেও পরে দখলবাজদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের বিনিময়ে বনবিভাগ ম্যানেজ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ী সমতল জমি দখল করে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি নগদ টাকায় দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে। আর এ দখলীয় পাহাড়ী জায়গায় ক্রেতারা স্থাপনা নির্মাণসহ ঘেরাবেড়া, সীমানা তৈরি করে যাচ্ছে। দখলবাজ এ চক্রটির পাশাপাশি ক্রেতারা পাহাড়ী জায়গা কেনার পরপরই শুরু করে পাহাড় কাটা। স্থানীয়দের অভিযোগ বেশ কয়েক বছর ধরে এ প্রবণতা চালিয়ে আসলেও মাঝে মধ্যে বনবিভাগ লোক দেখানে অভিযান চালিয়ে অফিসে পৌছার আগেই পুনরায় স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়। জুমনগর এলাকার এক মহিলা জানান, গত বছর স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ১৫ কড়া পাহাড়ী জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করেছি। অবশ্যই এ প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করেনি। খোঁজ খবর নিয়ে আরো জানা যায়, ইসলামাবাদ-ইসলামপুর মধ্যবর্তী শাহ ফকির বাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ২শতাধিক দোকান ঘর। সেখানেও জড়িত রয়েছে এ প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি। এদিকে সরকারী জমি দখল ও পাহাড় কেটে প্লট অধিক মূল্যের বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কেরামত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তাছাড়া কোন বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলামের কাছে পাহাড় কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পাহাড় কাটার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বনকর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরকে কোন ধরণের তথ্য প্রদান করে না। তাই সহজে অভিযানে যাওয়া যায় না। ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেলের মোবাইলে এসব বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করলে রিসিভ করেননি।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...