
খালাতো বোনের বিয়েতে পরিবারের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল গিয়েছিল চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের বাগাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী ফারজানা। তার ফরম ফিলাপের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। এজন্য বিয়ের পুরো অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাড়ি ফিরছিল। পথে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে যায় ফারজানা। গুরুতর আহত হন তার পরিবারের আট সদস্য।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় চাঁদপুর বালিয়া ইউনিয়নের তালুকদারবাড়ির কুয়েত প্রবাসী বিল্লাল বেপারীর মেয়ে ফারজানা রহমান। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মা বেবী বেগম, ভাই হাসান বেপারী, নানি ফিরোজা বেগম, মামাতো বোন মিতু, ইবলি, শিশু ধ্রুব ও মামি সাহিদা গুরুতর আহত হন।
ফারজানার লাশ বাড়িতে আনার পর একনজর দেখতে হাজারো মানুষ জড়ো হন। তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তার সহপাঠী অন্তরা ইসলাম জানায়, ফারজানা ছিল খুবই ভালো ছাত্রী এবং সবার ভালো বন্ধু। এভাবে তার চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছে না।
ফারজানার ফুপাতো বোন আয়েশা আক্তার জানান, গত মঙ্গলবার সিলেটের শ্রীমঙ্গলে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ফারজানাসহ তাদের পরিবার। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে। আমাদের পরিবারের আরও আটজন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অনেকে হয়তো পঙ্গু হয়ে যাবে।
এদিকে খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ফারজানার লাশ আনতে তালুকদারবাড়িতে যান চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাছিম উদ্দিন। এলাকাবাসী ও সহপাঠীদের আপত্তিতে ফিরে যান তিনি।
পাঠকের মতামত