
নিউজ ডেস্ক::
সীমান্তে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গারা পরবর্তীতে আশ্রয় নিচ্ছে কক্সবাজারের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শরনার্থী শিবিরগুলোতে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি এনজিও’র প্রশ্রয়েই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সমস্যা সমাধানে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। তারা বিজিবির পাহারা কারণে প্রথমে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অবস্থান নিলেও পরে দালালদের সহযোগিতায় প্রতি রাতেই ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে।
তারপর চলে যাচ্ছে টেকনাফের লেদা কিংবা উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে। সেখানেই তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়, ঘর তৈরি করে দেয়াসহ নানা সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও এনজিওগলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম সরকারি নজরদারির আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী।
বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
বেসরকারি সংস্থা ইউএনএইচসিআর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ১০ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা। তবে স্থানীয়দের ধারণা এই কদিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। সুত্র দৈনিক কক্সবাজার
পাঠকের মতামত