
এই পৃথিবীর কারাগারগুলো যেমন নির্মম সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়ে গর্বিত হচ্ছে ঠিক তেমনি বিনাদোষে বিনা অপরাধে লক্ষ লক্ষ মানুষের আশ্রয়ে অবনমিত হচ্ছে৷
একদিন সবকিছুর বিচার হবে, যেখানে কোনো আসামি পক্ষ কিংবা বাদী পক্ষ থাকবেনা৷ যেখানে উকিল কিংবা দালালরা হবে নিষ্প্রয়োজন, যেখানে কোনো আদালত_হাইকোর্ট কিংবা জর্জ এর প্রয়োজন হবেনা৷ যেখানে কোনো পুলিশ প্রশাসন কিংবা ইনভেস্টিগেশনের রুল প্লে করতে হবেনা৷
সেদিন সবকিছুর বিচার হবে, সেখানে উন্মোচিত হবে পৃথিবীর সকল সন্ত্রাসবাদের প্রকাশিত এবং গোপনীয়তা৷ সেখানে উন্মোচিত হবে মানুষের উপর জুলুম, প্রহার, হত্যা, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণকারীর ঘৃণ্য চেহেরা৷ সেখানে উন্মোচিত হবে সেসব প্রশাসনের নোংরামি, যাদের জিহ্বায় টাকা কিংবা ক্ষমতা পদপদবীর লালসার পানি চলে আসতো, যারা নিরীহ মানুষের উপর জুলুম করতো, নিরীহ নিরপরাধী মানুষকে ফাঁসিয়ে দিত এবং ধনী গরিব সবার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত৷ সেখানে উন্মোচিত হবে সেসব মানুষ নামের পশুর ঘৃণ্য চেহারা, যারা উকালতির নামে মানুষের সাথে রীতিমতো প্রতারণা করত, অর্থের বিনিময়ে সত্য মিথ্যার বেচাকেনা করত, নিরপরাধীকে ফাঁসাতে এবং অপরাধীকে খোলা আকাশের নিচে সুষ্ঠু জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দিত৷ সেখানে উন্মোচিত হবে সেসব জর্জ ব্যারিস্টারের গোপন কাহিনি, যারা অর্থ, ক্ষমতা কিংবা স্বজনপ্রীতির কৌটিল্যে সত্য মিথ্যার বিচার করতো এবং শত-শত নিরপরাধ মানুষের গলায় কলম চালাতো৷ সেখানে উন্মোচিত হবে সেসব মানুষের কুকীর্তি এবং কাপুরুষতা, যারা মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিত, নারীকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করত৷
সেই আদালত মহান আল্লাহর আদালত, সেদিন সবকিছুর হিসেব শেষ করা হবে৷ মানুষ মরণশীল, তাইলে অবশ্যই সেদিন আসছে।
মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ
ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 
 
 
  
  
  
  
  
  
  
 
পাঠকের মতামত