প্রকাশিত: ১০/১০/২০১৬ ১০:০০ পিএম

20161008_133713-1-1মোঃ আবছার কবির আকাশ,টেকনাফ::

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লম্বাবিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট  প্রকৌশলীর গোপন আঁতাতের বিষয়েও ।                                                                                                                            জানা যায়, পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লম্বাবিল প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মানের জন্য কাজ চলছে । বর্তমানে এই কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান মেসার্স আবছার কনষ্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।

লম্বাবিল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজ¦ী মোঃ হোছনও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, এ প্রকল্পের গুনগত মান খুবই খারাপ। ইটের ভাটা থেকে নিম্ন মানের ইট, নিম্নমানের বালি ও নিম্ন মানের রড, দিয়ে মূলতঃ কাজ শুরু করেন আবছার কনষ্ট্রাকশন। বেইজ ঢালায় ও ছাদ ঢালাই ছাড়া রহস্যজনক কারণে টেকনাফ উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীরা প্রকল্প পরিদর্শনে আসেননি। উনছিপ্রাং প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য ছাদ ঢালায়ের সময় অনিয়মের বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও তারা তা কর্নপাত করেননি।

সম্প্রতি একদল সংবাদ কর্মী নির্মানাধীন বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সরেজমিনে দৃশ্য ধারণ করতে গেলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান সরকার মান সম্মত কাজ করতে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা বরাদ্দ ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেও এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা করা হয়নি। তাদের মতে পিলার ও প্লাষ্টার করার পর ওয়াটার কিউরও দেয়া হয়নি।  দরজা জানালা ও বারান্দার কাজে ৩এমএম ষ্টীল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এতে নিম্ম মানের ষ্টীল ব্যবহার করা হয়েছে। রড, সিমেন্ট পর্যাপ্ত পরিমান ব্যবহার করা হয়নি। ছাদে নষ্ট সিমেন্ট ব্যবহার করারও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকেরা। এ ছাড়া নির্মান কাজে নিম্ম মানের কংকর ও বালি ব্যহারের অভিযোগ শুরু থেকেই ছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ঠিকাদারী প্রতিষ্টান আবছার কনষ্ট্রাকশন এই দুই ২ বিদ্যালয়ের কাজটি করে যাচ্ছেন মনগড়াভাবে। এদিকে গোপন সূত্রে জানা যায়, উনছিপ্রাং নব নির্মিত স্কুল ভবনের পাশে ঠিকাদারের কাজ দেখা শুনা করে এমন এক কর্মচারী কেয়ার টেকারের সাথে আঁতাত করে স্কুলের জন্য আনা রড সিমেন্ট কংকর দিয়ে একটি সেমি পাকা ঘর নির্মান করেছে। নির্মাণ কাজে পুকুর চুরির ঘটনা ফাঁস হবার ভয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এসব দেখেও না দেখার ভাঁন করছেন। অপরদিকে লম্বাবিল স্কুলের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল জসিম নামক এক মিস্ত্রি জনৈক রফিককে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান আবছার কনষ্ট্রাকশনের মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন সাধ্যমত ভাল মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের একমাত্র অভিভাবক এলজিইডি। তাঁরা ভাল মন্দ তদারকি করছেন। ভবন নির্মানের তদারকীর দায়িত্বে থাকা টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন অফিসে চা খেতে আসেন, সব তথ্য দেব।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...