জসিম উদ্দিন টিপু :
জেলার টেকনাফ-উখিয়ায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে উপজেলার সব বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে পড়ে। গ্রাহকরা জানায়, বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে মুহুর্তের মধ্যেই উপজেলার সব বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই উপজেলার প্রায় ৬৪ হাজার গ্রাহককে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের নামে বিভিন্ন অজুহাতে মাসে অন্তত কয়েকদিন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া রাতের বেলায়ও বেশীর ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা বলে গ্রাহকরা জানায়। অতিরিক্ত লোডশেডিং এবং উন্নয়ন কাজের নামে যেনতেন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আচরণে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্র জানায়, অতি বৃষ্টির কারণে দুঘর্টনা এড়াতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়। বর্ষাকালে গাছের গোড়া নরম হওয়ায় মেইন লাইনে গাছপালা পড়ার আশংকা থাকার কারণেই বৃষ্টি হলেই টেকনাফ-উখিয়ার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ, অতিরিক্ত লোডশেডিং, উন্নয়ন কাজের নামে মেইন লাইন বন্ধ রাখা, বৃষ্টি জনিত কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করায় টেকনাফ-উখিয়ায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এখানকার প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্য্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বর্ষাকালে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পত্রিকা অফিসে নিউজ পাঠাতে সমস্যা হয়। অনেক সময় সাংবাদিকরা পত্রিকা অফিসে নিউজ পর্যন্ত পাঠাতে পারেনা।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, টেকনাফ-উখিয়ায় ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি বিদ্যুৎ সাব ষ্টেশনের অধীনে ৬৩হাজার ৫শ‘র অধিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়। এ দু‘উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পিডিবি থেকে চাহিদার বিপরীত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ১৫-১৬ মেগাওয়াট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কারণে নাকি লোডশেডিংটা একটু বেশী হয় বলে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী। তবে বরাদ্দকৃত বিদ্যুৎ সরবরাহে পবিস কর্তৃপক্ষ ফিটার ভিত্তিক বিদ্যুৎ সংযোগ চালুতে কারণে অকারণে বৈষম্য করে আসছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। এদিকে টেকনাফ-উখিয়ার দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) খালিদ মো: সালাহ উদ্দিন জানান, আসলেই গ্রাহকের অভিযোগ সত্য। বৃষ্টি হলেই দুর্ঘটনা এড়াতে কক্সবাজারের দক্ষিণে ৯০-১০০কি: মি: বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করতে হয়। তবে আপ গ্রেডেশন তথা লোড বৃদ্ধির কাজ চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আগামী মাস থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে যাবে।
পাঠকের মতামত