প্রকাশিত: ১১/০২/২০১৭ ১১:০৯ পিএম

এম বশর চৌধুরী উখিয়া::
ডাকাত নির্মূল, অস্ত্র উদ্ধার, আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে প্রশাসন ও থানা পুলিশকে সহায়তা এবং তৃণমূল পর্যায়ে আনসার বাহিনীকে সু-সংঘটিত করায় প্রেসিডেন্ট পদক/২০১৭ এ ভুষিত হয়েছেন উখিয়া উপজেলা আনসার কোম্পানি কামান্ডার জসিম উদ্দিন চৌধুরী। ১২ ফেব্র“য়ারী/২০১৭ ইং তারিখ সফিপুর আনসার ও ভিডিপি একাডেমী মিলনায়তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রীর দরবারে ৩৭ তম জাতীয় সমাবেশে তাকে প্রেসিডেন্ট পদকে ভুষিত করার বিষয় নিশ্চিত বাংলাদেশ আনাসার একাডেমী। তার এ বিরল কৃতিত্বের জন্য উখিয়াবাসী তাহাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৫৬ সালের ৪ এপ্রিল পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের প্রখ্যাত জমিদার পরিবারে জসিম উদ্দিন চৌধুরী জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরী ছিলেন জন নন্দিত সমাজ হিতৈষী। মাতা আলহাজ্ব সাজেদা বেগম চৌধুরী একজন মহিয়সী। তার ছেঅট ভাই গফুর উদ্দিন চৌধুরী পালংখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। ৫ ভাই ৫ বোনের মধ্যে জসিম উদ্দিন চৌধুরী ভাইদের মধ্যে সবার বড়। জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি ১৯৮০ সালে পালংখালী ইউনিয়নের বিডিপি কামান্ডার (দলপতি) হিসাবে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার সহকারী কোম্পানি কামান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত উখিয়া উপজেলা আনসারের কোম্পানি কামান্ডার পদে দায়িত্বরত আছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে প্রশাসনকে সহায়তা করায় ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় পুরুস্কারে ভূষিত করেন। তিনি একই অবদানের জন্য ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে ২ টি রোপ্য পদক পান। ২০০৫ সালে স্বর্ণ পদক, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আনসার পদক, ২০০৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহাকে স্বর্ণ পদক প্রদান করেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে তিনি বিশেষ পুরুস্কারে ভূষিত হন। একাধিক পুরুস্কারে ভূষিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি আনসার বাহিনীতে যোগদানের পর থেকে অপরাধ দমন , ডাকাত দমন, অস্ত্র উদ্ধার সহ আইন শৃংঙ্খলার উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। রোহিঙ্গা ডাকাত বনের রাজা ইউনুছ, শাপলাপুরের ডাকাত শাহ আলম, পালংখালীর কানা মুইন্যা, রোহিঙ্গা ডাকাত মোহাম্মদ আলম, পাতাবাড়ীর ডাকাত শাহ আলম সহ অনেক আন্তজেলা ডাকাত সদস্যদের আটক করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন। এ ছাড়াও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এসব ডাকাত আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে সে বেশ কয়েকবার গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছিলেন। তিনি জীবনের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আইন শৃংঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। বর্তমানে তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসীর কারণে নিজের জীবন বিপন্ন মনে করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...