
ডেস্ক রিপোর্ট: উখিয়া উপজেলার দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান সোনার পাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে জোর করে এক প্রবাসীর সাথে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২৩ আগস্ট দুপুরে জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেম্বার রফিকের বাড়ীতে এ বাল্য বিয়ের ঘটনাটি ঘটে। সুত্র প্রকাশ, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়ার বাসিন্দা আজিজুল হকের ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে জোর করে টেকনাফের হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা ৫৪ বছরের বয়স্ক প্রবাসী জাফর আলমের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা লোভে জড়িয়ে পড়ে তার ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেধাবী মেয়েকে ওই প্রবাসীর সাথে বিয়ে দিতে রাজি হন। প্রবাসী জাফর আলম ও মেয়ের বাবা আজিজুল হকের মাঝে সক্রিয় ঘটকগিরি চালিয়েছেন ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফরিদ উদ্দিন। তিনি একজন সচেতন মানুষ হয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেধাবী ওই মেয়েকে কিভাবে একজন বয়ষ্ক লোকের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়ে মাদ্রাসাসহ উক্ত এলাকায় তার বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, ওই মেয়ে ১৫ মার্চ ২০০২ ইংরেজী তারিখে জন্মগ্রহণ করে। তার শ্রেণী রোল নং ৩৪ এবং দাখিল ৮ম শ্রেণীর একজন নিয়মিত মেধাবী শিক্ষার্থী। তার অনুপস্থিতিতে শ্রেণীতে যেনো শূণ্যতা বিরাজ করছে তা অন্য শিক্ষার্থীদের ক্ষীপ্ততায় লক্ষ্য করা গেছে।
একাধিক সুত্র দাবী করছেন, ২৩ আগষ্ট দুপুরে উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ওসিকে এ বাল্য বিয়ের ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন। পরে ওসি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে। কিন্তু পুলিশ এসে কাগজপত্র দেখে ফের চলে যায়। কিন্তু ওই কাগজপত্র আসল ছিল না। প্রবাসী জাফর মোটা অংকের বিনিময়ে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ হতে ওই তর্কিত জন্ম সনদটি সংগ্রহ করেছেন। প্রবাসী জাফর লাখ টাকার বিনিময়ে ১৮ বছর ৬ মাস দেখিয়ে একটি জন্ম সনদ সংগ্রহ করে কাজী সেলিম উল্লাহ’র মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন। অথচ তিনি জানতেন ওই মেয়ে ৮ম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। এখনো বিয়ে করার মত বয়স মেয়ের হয়নি।cox munni pic-1
বিয়ের ব্যাপারে প্রতিবেদক কাজী সেলিম উল্লাহর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে অফিসে গেলে অফিস তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেদনে তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের ব্যাপারে সোনার পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফরিদ উদ্দিন জানান, মেয়েটির বিয়ে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না, অন্য শিক্ষার্থীদের মুখে শুনেছে। অবশিষ্ট অভিযোগ তিনি এড়িয়ে যান। তবে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সফল জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
কি কারনে মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়েছেন তা জানতে মেয়ের বাবা আজিজুল হক ও মা আনোয়ারার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় প্রতিবেদনে তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই রহস্যজনক বয়স্ক প্রবাসীর হাতে মেধাবী মুন্নি অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছেন। সুত্র: কক্সবাজার মেসেজ
পাঠকের মতামত