প্রকাশিত: ১১/০১/২০১৭ ৯:১৮ পিএম

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া::

কক্সবাজারের উখিয়ায় গত ৮ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিগত ৪৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা বর্তমান সরকারের ২ মেয়াদে অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলে এখানকার সুধিজন জানিয়েছেন। তবে এ সুফল ঘরে তুলতে হলে আরো ব্যাপক প্রচারণা বাড়ানোর দরকার। গত কাল বুধবার বিকেলে উখিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে উখিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি স্টল পরিদর্শন করতে গিয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পল্লী সড়ক শুধু মাত্র সড়ক নয় কর্মসংস্থান, জীবিকা ও উন্নতর জীবনের অবলম্বন, পল্লী সড়কের হাত ধরেই আসে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দরিদ্র মুক্তি এবং সর্বোপরি মানব উন্নয়ন। বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলায় ১০৫.৪৮৯ কিলোমিটার পল্লী সড়ক উন্নয়ন করা হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৮.১২ কোটি টাকা বর্তমানে ৩৫.১০০ কিলোমিটার সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরো ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে ৭টি সড়ক নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ২টি সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুষ্ট পরিচালনা ব্যবস্থা একটি গতিশীল সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উপজেলায় মোট ১৩০.৩০৯ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষন করা হয়েছে। চলমান রয়েছে ৫.৫ কিলোমিটার। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৮.৫৫ কোটি। গ্রামীন জনজীবনের নতুন সম্ভাবনার ধার উন্মোচন হয়েছে ব্রিজ, কালভাট নির্মান করার কারণে। বিগত ৮ বছরে উপজেলায় ৪৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫৭টি ব্রিজ, কালভাট নির্মান করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৩.৬৯ কোটি টাকা। বর্তমানে ৮.৫ মিটার ব্রিজ, কালভাট কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরো ৩০ মিটার ব্রিজ, কালভাট নির্মান করা হবে। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও হাট বাজারে চিত্র পাল্টে গেছে। উখিয়া উপজেলায় ২টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মান ও ২টি হাট বাজার নির্মান করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৪.১২ কোটি টাকা। বর্তমানে একটি বাজার উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী ২বছরের মধ্যে আরো ৩টি হাট বাজার উন্নয়ন করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইক্লোন সেল্টার নির্মান। বিগত ৮ বছরে উখিয়া উপজেলায় ৪৩টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ সম্প্রসারন এবং উপজেলা রিসোর্স সেন্টার নির্মান করা হয়। ১০টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মান করা হয়। এত ব্যয় হয় ১৩.৭১ কোটি টাকা। বর্তমানে আরো ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজ চলছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরো ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মান করা হয়। ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ২২০০ হেক্টর জমি পানি সম্পদ উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৬.১০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ৩টি রাবার ড্যাম নির্মান করা হয়েছে। একটির কাজ চলমান আছে। আগামী ২বছরের মধ্যে আরো ৫টি প্রকল্প উন্নয়ন করা হবে। উখিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মান প্রক্রিয়াধীন। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩টি বাস গৃহ নির্মানাধীণ। উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের দিকে ধাবিত বলে দেশের গ্রাম অঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...