প্রকাশিত: ২৭/১২/২০১৬ ৭:৪৮ এএম , আপডেট: ২৭/১২/২০১৬ ৮:০৩ এএম

ফারুক আহমদ :
উখিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ গিলে খাচ্ছে ৩০টি অবৈধ স’মিল। সরকারী নির্দেশকে অমান্য করে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ৩০টির মত স’মিল। বনবিভাগকে ম্যানেজ করে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব অবৈধ স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট গাছ চিরাই করে যাচ্ছে। ফলে সামাজিক বনায়নের অস্তিত সংকটের পাশা-পাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকার কথা জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও নতুন নতুন স’মিল স্থাপিত হচ্ছে। বলতে গেলে উখিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ৫ থেকে ৮টি অবৈধ স’মিল বসানো হয়েছে। যার একটিরও বৈধ কাগজ পত্র কিংবা লাইসেন্স নেই। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ স’মিল গড়ে উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উখিয়া বনবিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে মাসিক ও সাপ্তাহিক মাসোহারা বা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ স’মিল গুলো বসানো হয়েছে। ফলে দীর্ঘ এক বছর ধরে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে না এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের।
এদিকে উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি স’মিল বসানো হয়েছে। ভালুকিয়া সড়কে পাশা-পাশি ২টি ও রতœাপালং গ্রামে ৪টি স’মিল বসানোর ঘটনা নিয়ে পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রশ্ন প্রশাসন ও বনবিভাগের নাগের ডগায় কি করে এসব অবৈধ স’মিল বসানো সম্ভব হয়েছে। আর কেন বা স’মিলে উচ্ছেদ অভিযান হচ্ছে না।
শুধু তাই নয়, উখিয়া সদর, টাইপালং, কুতুপালং, ফলিয়াপাড়া, হাজী পাড়া, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, জালিয়াপালং, রুমখাঁবাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে ৩০টির মত অবৈধ স’মিল স্থাপিত হয়েছে। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিদিন এসব স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ গাছ চিরাই করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা উক্ত স’মিল গুলোকে  অবৈধ কাঠের ডিপো হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। তারা আরও জানান, রাজাপালং, ভালুকিয়া, ইনানী, জালিয়াপালং ও উখিয়ার বনাঞ্চলে বনায়নকৃত সামাজিক বনায়নের কচিকাঁচা গাছ নির্বিচারে কর্তন করে স’মিলে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে দিন দিন সামাজিক বনায়নের গাছ উজাড় হওয়ার পথে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশা-পাশি সামাজিক বনায়ন অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বলতে গেলে সামাজিক বনায়নের গাছ ঘিলে খাচ্ছে অবৈধ এ স’মিল গুলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে জেলা ট্রাষ্কফোর্স কমিটি ও উপজেলা আইনশৃংখলা  কমিটির সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন অদৃশ্য কিংবা কালো হাতের ইশারায় উখিয়ায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাকি প্রশাসন মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে রহস্যজনক ভূমিকায় স’মিল উচ্ছেদ করছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...