প্রকাশিত: ২৭/০৭/২০১৬ ৮:০৪ এএম

Picture1 [Max Width 640 Max Height 480]উখিয়া নিউজ ডটকম::

উখিয়ায় সরকারের ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধান ক্রয়ের নামে তারা কৃষকদের নানাভাবে হয়রানি করে স্থানীয় দালাল-ফড়িয়াদের নিকট থেকে কৌশলে ধান ক্রয় করছেন। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

এমনিতে ধানের বাজারে মন্দাভাব চলছে। সরকারের কাছে ধান-চাল বিক্রয়ে ব্যর্থ হওয়ায় চাষাবাদে নিরুৎসাহিত হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। উখিয়া উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাস থেকে প্রতি কেজি ২৩ টাকা দরে ৮শ ৮১ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ১৫ জুন থেকে। কিন্তু ধান ক্রয় সংক্রান্ত খাদ্য বিভাগের মাইকিং বা প্রচারণা না চালানোয় মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা তা জানেননি। উখিয়া খাদ্যগুদামে গিয়ে দেখা যায়, দালাল-ফড়িয়াদের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ধান যাচাই বাছাই না করে তাৎক্ষণিকভাবে গুদামজাত করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকদের আনা ধান পুনরায় রোদে শুকানোর কথা বলে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল অভিযোগ করেন, আমি প্রতি মৌসুমে ৫০-৬০ একর জমিতে চাষ করি। সরকারের ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের কথা জেনে উখিয়ায় এলএসডিতে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা নানাভাবে হয়রানি করে আমাকে ফেরত দিয়েছেন।

গয়ালমারা গ্রামের কৃষক আলী হোছন অভিযোগ করেন, তিনবার রোদে শুকিয়ে ফ্যানের বাতাসে ধান, চোয়া পৃথক করে প্রায় দেড় মেট্রিক টন মানসম্পন্ন ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে এসেছিলেন। একদিন অপেক্ষার পর তাকে ওই ধান ফেরত দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তার ধানে চোয়া বেশি।

দেখা যায়, খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ আধা বাটি পানিতে একমুঠো ধান ফেলছে। অধিকাংশ ধান পানিতে না ডুবার কারণে ওই ধান ফেরত দিচ্ছে।

জানা গেছে, এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গত মাসে উচ্চ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠির বিষয় এখানে চাহিদা মতো ধান না পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বরাদ্দ অন্যত্র স্থানান্তর করা হোক।

এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল দত্ত বলেন, এখানে কৃষকেরা যে ধান আনছে তা নিম্নমানের এবং আর্দ্রতা বেশি। তাই এখানকার বরাদ্দ অন্যত্র পুনঃবরাদ্দের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কৃষি কর্মকর্তা প্রদত্ত তালিকায় নাম না থাকার কারণ দেখিয়ে অধিকাংশ কৃষকের ধান ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে সুনীল দত্ত বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ধান ক্রয় করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...