প্রকাশিত: ২৫/০৫/২০২২ ১০:০৫ পিএম , আপডেট: ২৫/০৫/২০২২ ১০:১২ পিএম

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া গ্রাম থেকে শুরু করে হরিণ মারার গ্রামাঞ্চলের পাহাড় গুলো একে একে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিট কর্মকর্তা, ভিলেজার ও হেডম্যানের ছত্রছায়ায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনাঞ্চল ঘেরা পাহাড়গুলো। এখানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতে-দিনে পাহাড়ের মাটি বহনে নিয়োজিত রয়েছে চল্লিশটি অবৈধ ডাম্পার। এসব ডাম্পারের প্রতিটি থেকে মাসোহারা নিচ্ছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।
রয়েছে ডাম্পার মালিকদের নিয়ে ৪০ জনের সিন্ডিকেট।এদের মধ্যে রয়েছেন করিব আহম্মদ, সৈয়দ করিম, রেজা, জহির, মাহমুদুল হক, গফুর, মনসানু বড়ুয়া, আক্তার, বদি আলমসহ ৩৮ জন।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় নির্বিচারে বালি উত্তোলন চলছে। পাশাপাশি চলছে বাধাহীন পাহাড় কাটা। ভিলেজার হেডম্যানরা ডাম্পার মালিকদের কাছে পাহাড় গুলো বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছে। হরিণমারা এলাকায় একটি কথার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে, এখানে বিট কর্মকর্তারা অবৈধ ডাম্পার গুলো ধরতে নয়, বরং টাকা নিতেই প্রতিদিন আসে। ডাম্পার গুলোর অলিখিত চুক্তি থাকার কারণে এসব অবৈধ ডাম্পার থেকে বিট কর্মকর্তা ও স্থানীয় ভিলেজাররা মাসিক হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভিলেজার হেডম্যানরা ডাম্পার মালিকদের বাধার পরিবর্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ। স্থানীয়দের মতে,মিলেমিশেই তারা এসব কাজ করছে তাই এসব বলে কি লাভ এমনটাই অভিব্যক্তি স্থানীয় আব্দুর রহিমের।

তিনি জানালেন,অনেক বলেছি। খবর দিয়েছি স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে। কিন্ত এমনও দেখা গেছে, তিনি পাহাড় কাটার স্থানে এসেছেন, এসে ডাম্পার মালিকদের সাথে চা খেয়ে আবার চলে গেছেন। তাই বুঝতে বাকি থাকে না ডাম্বার মালিকদের সাথে আমাদের চেয়ে তাদের সম্পর্ক ভালো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , হিজলিয়া সড়ক দিয়ে ঢুকে ৪০ টি অবৈধ ডাম্পার দিনে রাতে পাহাড়ের মাটি ও বালি পাচার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এসব ডাম্পার শুধুমাত্র বন প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলাচল করছে। যে যেখানে পারছে বালি মজুত করছে। হিজলিয়া থেকে শুরু করে হরিনমারা হয়ে খয়রাতি পাড়া পর্যন্ত সড়কের দু পাশে মজুত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বালি। এমন কোন জায়গা নেই যেভাবে বালির মজুত নেই। স্থানীয় বিট কর্মকর্তা রয়েছেন নামকাওয়াস্তে। তিনি ডাম্পার মালিকদের সাথে কোন বিরোধে যাননা বলেও জানা গেছে।
একজন ডাম্পার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন,বর্তমান বিট কর্মকর্তা খুব ভালো লোক, কোন বাধা দেননা। তেমন কোন চাহিদা নেই, যা দিই তাই নেন।
এ ব্যাপারে জানতে দুছড়ি বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ডাম্পার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেননি কোনদিন। প্রতিনিয়ত পাহাড় খোকা ও বালি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। কারো থেকে কোন ধরনের সুবিধা নিয়েছি এরকম কেউ বলতে পারবেনা। ইতিমধ্যে বালি উত্তোলনের মেশিনসহ অবৈধ ডাম্পার জব্দ করেছি

পাঠকের মতামত

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...