
হুমায়ুন কবির জুশান,উখিয়া ::
একদিকে সুন্দরী স্ত্রী রেখে প্রবাসে স্বামী অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রী এনজিওতে চাকরি করে বেপরোয়া জীবন-যাপন করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। উখিয়ার ঘরে ঘরে বর্তমানে অশান্তির তিনটি কারণ উল্লেখ করে সু-শাসনের জন্যে নাগরিক সুজনের সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর পরকিয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির সুবাধে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ ও ইয়াবার আগ্রাসনে উখিয়ার ঘরে গলে এখন অশান্তি বিরাজ করছে। প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে আত্নহত্যা করেছে সৈকত বড়ুয়া(২৩)। গত ৯ আগস্ট সকালে পাতাবাড়ি খেলার মাঠ সংলগ্ন নিজের বাড়ির পাশে একটি কম্পিউটার সেন্টারের আঙ্গিনা থেকে সৈকত বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। সে রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ী এলাকার সানন্দ বড়ুয়ার ছেলে। সৈকত বড়ুয়ার মা মধুবালা বড়ুয়া বলেন, প্রবাসী স্বামী রনু বড়ুয়ার স্ত্রী রিমা বড়ুয়া একজন চরিত্রহীনা, পরধন লোভী মহিলা। আমার সহজ সরল ছেলে সৈকত বড়ুয়াকে পরকিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে সে। রিমা বড়ুয়ার স্বামী প্রবাসী হওয়ায় রিমা সৈকত বড়ুয়ার পাশাপাশি জনৈক জুয়েল বড়ুয়ার সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্ক সৃস্টি হলে আমার ছেলে সৈকত তা জানতে পারায় তার সাথে দূরত্বসহ গত ৮-৮-২১ ইং তারিখে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ফলে আমার ছেলে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়ে। বার বার রিমা বড়ুয়ার সাথে কথা বললে সে আত্নহত্যা করে মরে যাও বলে জবাব দেয়। ফলে আমার ছেলে আত্নহত্যা করে। যা আমার ছেলের হোয়াইটসএ্যাপ এ ছবি ও ক্ষুদে বার্তা দেখে বুঝা যায়। রিমা বড়ুয়ার প্ররোচনায় আমার সন্তান সৈকত বড়ুয়া আত্নহত্যা করে। আমার ছেলেকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করেছে। যার ফলে ঘটনার দিন গোপনে রিমা বড়ুয়া শশুর বাড়ী থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে। আমি রিমা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আত্নহত্যার প্ররোচনাকারি হিসেবে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

পাঠকের মতামত