প্রকাশিত: ২৩/১০/২০১৬ ৯:২০ পিএম

অাজিজুল হক:
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের জসিম উদ্দিন(১৯) নামক এক মুদির দোকানের কর্মচারী সদায় করতে উখিয়া বাজারে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়েছে।গত ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন শৈলঢেবা নামক স্থানে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ৪/৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় বলে অপহৃতের পরিবার দাবী করেন। সে তুমব্রু উত্তর পাড়ার আবুল খায়ের এর পুত্র।অপহরণকারীরা জসিম উদ্দিনকে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রেখে মোবাইল মারফত মোটাংকের টাকা দাবী করছে মুক্তিপণ হিসেবে।টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অপহরণের ৩০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও জসিম উদ্দিনের সন্ধান পাননি বলে জানান অপহৃতের পরিবার। ঘটনার বিবরণে অপহৃত জসিম উদ্দিনের দোকান মালিক একই পাড়ার মৃত জহির আহমদের পুত্র ওবায়দুল হক ও মামী শাহেনশাহকে আকতার জানান,গত শনিবার উখিয়ার হাটের দিন জসিম উদ্দিন দোকানের মালামাল ক্রয় করতে নগদ ১লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে সকাল ১১টায় তুমব্রু বাজার থেকে উখিয়ার উদ্দ্যেশ্য রওয়ানা দেয়।পথিমধ্যে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন শৈলরঢেবা নামক এলাকার প্রবেশমুখে পৌঁছামাত্র সিএনজির গতিরোধ করে তুমব্রুর ফকিরা ঘোনার আলী হোছাইনের পুত্র নুরমোহাম্মদ , নজির আহমদ বোবার পুত্র মনজুর আলম প্র: নাগু,ক্যাম্প পাড়ার আবু তাহের এর পুত্র নুরুল ইসলাম খোকন ও উখিয়ার অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ২/৩ জন দুস্কৃতকারী  ধারালো দা, কিরিচ নিয়ে জিম্মি করে জসিম উদ্দিনকে নামিয়ে মুখ বেধে জংগলের ভিতর নিয়ে যেতে দেখেন একই গাড়ীর যাত্রী তুমব্রু এলাকার ফরিদুল আলম,মোহাম্মদ আলম, বদিউল আলম ও সিএনজি চালক নুরুল আবছার জানান। অপহরণের ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিক অপহৃতকে উদ্ধারে জসিম উদ্দিনের আত্মীয়সজন ও দোকান মালিক ওবায়দুল হক উখিয়া থানাকে মৌখিক অবহিত করেন এবং ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ বরাবর লিখিত অভিয়োগ দায়ের করেন অপহৃত জসিম উদ্দিনের আপন মামী শাহেনা আকতার।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন লেনদেনের বিষয় অপহরণের ঘটনা মিথ্যাচার। ঘুমধুম ইউনিয়নের স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান,অপহরণ নয় সার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার।ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান,পুর্বের লেনদেনের জের ধরে আটকিয়ে রাখলেও পরে সমাধান হওয়ার কথা শুনেছি। ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ইনচার্জ এরশাদুল হক জানান দু-পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উখিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান মৌখিক জানিয়েছিল পরবর্তী যোগাযোগ করেনি অপহৃতের পরিবার।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...