প্রকাশিত: ০২/০৮/২০১৭ ৮:০৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫১ পিএম

শফিক আজাদ::
উখিয়া কুতুপালং ও বালূখালী শরনার্থী শিবির ও টেকনাফ লেদা এবং মুছনী ক্যাম্প কেন্দ্রীয় কর্মরত এনজিও সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীরা কৌশলে নিরাপদে ইয়াবা পাচারের জন্য ব্যবহার করছে জরুরী রোগী বহণে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স। এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে জনগণে সৃষ্টি হয় কৌতুহল। যেহেতু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মানবিক চিন্তা করে এসব অ্যাম্বুলেন্সে সহজে তল্লাশী বা অভিযান পরিচালনা করেনা। কিন্তু অবশেষে তাই সত্যি হল। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে উখিয়া-টেকনাফ ভিত্তিক একটি ইয়াবা পাচারকারী চিহ্নিত সিন্ডিকেট। এতে যুক্ত হয়েছে অতি লোভী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। যারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া থানা পুলিশ কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়কের উখিয়া মধ্যম ষ্টেশন থেকে এনজিও সংস্থা আরটিএমের রোগী পরিবহনের জন্য নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স হতে ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় চলছে নানান গুঞ্জন। এ ঘটনায় ২ ড্রাইভারকে আটক করা হলেও নেপথ্যের মুল হোতারা রয়েছে এখনো ধরাছোয়ার বাইরে।

জানা যায়, গত ২০১৫সালে কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত এমএসএফ হল্যান্ড এর ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৫৫হাজার পিস ইয়াবা সহ ড্রাইভার শফিউল আলম এবং নার্স শিখা রাণীকে আটক করেছি মরিচ্যা বিজিবি’র সদস্যরা। অপরদিকে গত ২দিন আগে টেকনাফের মুছনী ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থা আরটিএমর রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ২ জনকে আটক করে মামলা দায়েরের পর রবিবার জেল হাজতে প্রেরন করা হলেও জড়িতরা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। রোগী পরিবনের গাড়ীতে কি করে ইয়াবা এলো তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছে এনজিও সংস্থাটি। টেকনাফের একাধিক সুত্রে জানা গেছে,এ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার করা ইয়াবা গুলো মুছনি এলাকার চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী জহির আহামদ ও জামাল হোছেন সিন্ডিকেটের। জহির আহামদ ও জামাল হোছেন পিতা পুত্রের এ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদে অ্যাম্বুলেন্স ভিক্তিক ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন হিসেবে জানা যায়, জামাল উদ্দিনের ছোটভাই বশির এনজিও সংস্থা আরটিএমের ক্লিনিকে কাজ করে। এতে এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সাথে সখ্য গড়ে উঠে তার। তাদের বাড়ী নাফনদী সংলগ্ন হওয়ায় ছোট ভাই আবুল বশরের সহায়তায় রোগী পরিবহনের অ্যম্বুলেন্সে ইয়াবা পাচারে তাদের খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ইতিপূবের্ও জহির-জামাল সিন্ডিকেটের ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে জামাল উদ্দিনের ছোটবোন মোহছেনা বেগম ও বোন জামাই জুয়েল।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, রোগী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্সে ইয়াবা পাচার করা অত্যান্ত দুঃখজনক। এখন থেকে সন্দেহজনক যেকোন অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশী করা হবে। আর এর সাথে জড়িতদের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...