উখিয়া নিউজ ডটকম::
সপ্তাহকাল ধরে টানাবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উখিয়ার অধিকাংশ গ্রাম ফের প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে আমন চাষাবাদ। গ্রামীণ সড়ক ও আরাকান সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ভোগে পড়েছেন শত-শত যাত্রী সাধারণ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে টর্নেডোর আঘাতে রহমতের বিল ও ধামনখালীতে ২০টি বসতবাড়ি ও মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ৬ জুলাই এ উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আমন বীজতলা ও গ্রামীণ জনপদের।
এসময় পানিতে পড়ে ও পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে ৪ জন। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তথ্য মতে, ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরায় আক্রান্ত হয়ে বিপর্যস্ত জনজীবনের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই ফের বন্যার আশংকায় গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ আতংকে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৭ দিনের টানাবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিসি’তির সার্বিক অবনতি হয়েছে বলে আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের অভিযোগ।
রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা, আমিনপাড়া, দোছরী, হারাশিয়া, কাশিয়ার বিল, হিজলিয়া, কুমার পাড়া, পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমানপাড়া, রহমতের বিল, ধামনখালী, বালুখালী, থাইংখালী, তেলখোলা-মোছারখোলা, রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া, রত্নাপালং, থিমছড়ি, তুলাতলী, তেলীপাড়া, খোন্দকার পাড়া, টেকপাড়া, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, মনির মার্কেট, রুমখাঁ বাজার পাড়া, নাপিত পাড়া, বৌবাজার, মরিচ্যা প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ হাজারেরও অধিক লোকজন।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পানেরছড়া, কাটির মাথা, চাকমা পাড়া, সাদৃকাটা, থাইংখালী, বালুখালী, কাস্টমস এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে গত ২ দিন ধরে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে দুর্ভোগে পড়েছে শত শত যাত্রী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রহমতের বিল ও ধামনখালী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর আঘাতে ২০টি বসতবাড়ি, মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বসতভিটার ফলজ ও বনজ গাছগাছালি।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বয়ে যাওয়া বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় মোরায় আক্রান্তদের ওপর চলমান ভারীবর্ষণ, জলাবদ্ধতা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। তিনি অবিলম্বে বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মো. আমিন। টেকনাফ ও চট্টগ্রাম নগরে তাঁর জমি ...
পাঠকের মতামত