প্রকাশিত: ১৬/০৮/২০১৭ ৭:২৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৫ পিএম

বিশেষ সংবাদদাতা:
উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ভালুকিয়া মাতবরপাড়ার বাসিন্দা শফিউল আলম তার বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুত অফিসে আবেদন করেছিলেন ২০০৯ সালে। নিয়ম মাফিক টাকা জমাসহ যথারীতি অফিসিয়াল সব প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেন। আবেদনের ৮টি বছর পার হলো। কিন্তু এখনো ডিজিটাল সরকারের বিদ্যুতের দেখা মেলেনি হতভাগা শফিউল আলমের বাড়ীতে। বছরের পর বছর অফিসে পড়ে আছে তার আবেদনের ফাইল। খোঁজ নিতে গেলে উল্টো তাকে ধমক খেতে হয় অফিস কর্তাদের। সংযোগ দিতে দাবী করে উৎকোচ। এ কারণে ৮ বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি শফিউল আলম।
সুত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুত অফিসের রসিদ নং-২২৩৫৭ মূলে ২৫ টাকা এবং একই বছরের ১১ অক্টোবর ২২৩৭৯২ রসিদমূলে ২৫০ টাকা ৪৬৬ নম্বর হিসাবের অনুকূলে জমা করেন শফিউল আলম। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেন। সব রিপোর্ট ইতিবাচক থাকার পরও ‘নতুন বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ আছে’ জানিয়ে জানিয়ে গড়িমসি করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। এরপর ‘রিস্টিমেট’ করার অজুহাতে ২০১২ সালের ২২ জুলাই কর্তৃপক্ষের কথা মতো আরো ১২৫০ টাকা একই হিসাবে জমা করেন। আবেদনের ৩ বছর পর দ্বিতীয়বার পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। যা সমিতির রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু আবেদনটি মঞ্জুরের পর সংযোগ বাবদ মোটা অংক দাবী করে বসেন তৎকালীন উখিয়া অফিসের কর্মকর্তা মোশাররফ। যিনি বর্তমানে কক্সবাজার অফিসে দায়িত্বরত।
ভুক্তভোগী শফিউল আলমের অভিযোগ, মোশাররফের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় তার আবেদনের ফাইল গোপন করে ফেলেন। যে কারণে অনুমোদন পেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি তিনি। অবশেষে ২০১৫ সালের ১১ জুন ৩৪৩৭৭৯ নং রসিদমূলে আরো একটি নতুন আবেদন করেন শফিউল আলম। ৪৬৬ হিসাবে ১৫০০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা করেন। এরপর প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবেদন জরুরী দেখার মতামত দিলে সরেজমিন পরিদর্শনে যান প্রকৌশলী চন্দন। তিনিও রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু এবার প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আবেদনটি অনুমোদনের জন্য মোটা অংক দাবী করেন। অন্যথায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানায়, সরকারে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে আন্তরিক সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে কেন গড়িমসি করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যারা সংযোগের জন্য উৎকোচ দাবী করেছে তাদের তদন্তপূর্বক শাস্তি দিতে হবে।
আবেদনকারী শফিউল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, আবেদনের ৮ বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়া খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শরণাপন্ন হবেন বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে পল্লীবিদ্যুৎ কক্সবাজার অফিসের জিএম নুর মোহাম্মদকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’, মৃত্যু কমলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ...

ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দুর্বল চেকপোস্ট :গাইবান্ধায় গিয়ে রোহিঙ্গা যুবকসহ গ্রেফতার ৩

গাইবান্ধায় ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবকসহ আটক ৩ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধন ...