প্রকাশিত: ১৫/১০/২০১৬ ৭:৩৪ এএম

ukhiya-pic-3সরওয়ার আলম শাহীন::
অবকাঠামো নির্মাণ কাজের গুণগত মান সম্পন্ন উপকরণ হওয়ার সুবাদে এখানকার বালির চাহিদা রয়েছে প্রচুর।এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উখিয়া উপজেলার অর্ধ শতাধিক বালি সিন্ডিকেট প্রতি মৌসুমে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার বালি বাণিজ্য করলেও সরকার এ খাতে নূন্যতম রাজস্ব পাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদি সহ বালি ভর্তি যানবাহন আটক করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা না হওয়ায় এসব বালু লুটপাটকারী সিন্ডিকেট আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে নির্বিচারে অবৈধ বালি পরিবহনের কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ জনপদ অচল হয়ে পড়ছে একই ভাবে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক বালি মহাল থাকলেও আইনী জটিলতা ও বালি সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে অধিকতর বালি মহাল ইজারা বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে ম্যানেজ করে ঐসব বালি মহাল থেকে নিয়মিত লুটপাটের মাধ্যমে বালি উত্তোলন ও বিপনন অব্যাহত থাকলেও দেখার কেউ নেই।

সরেজমিন, পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, দোছড়ি, হরিণমারা, হিজলিয়া, গয়ালমারা, মরিচ্যা, রাবেতা ও রেজু খালের বিভিন্ন পয়েন্ট সহ ১২টি স্পট থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। রুমখাঁ মনি মার্কেট সংলগ্ন রেজু খাল এলাকা ঘুরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের ২ জন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রতিদিন শত শত শ্রমিক দিয়ে রেজুখাল থেকে বালি উত্তোলন করছে।স্থানীয় গ্রামবাসী ছৈয়দ আলম, আশরাফ আলীসহ একাধিক লোকজন জানান, কোন প্রকার ইজারা ছাড়া বালি উত্তোলনের ফলে রেজু খালের ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি মনির মার্কেটসহ কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়ালটি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।থাইনখালী,বালুখালীতেও একই চিত্র। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশেই উত্তোলন করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার ফুট বালি। এসব বালি ৭/৮টি ডাম্পার ভর্তি করে বিভিন্ন অবকাঠামো নিমার্ণ কাজে পাচার করছে স্থানীয় সিন্ডিকেট। স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান থাইনখালী,বালুখালীর খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়টি থানা ও উপজেলা প্রশাসনে জানানো হলেও বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।

সম্প্রতি উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুজ্জামান মোহাম্মদ শিবলী থাইনখালী খালে অভিযান চালিয়ে একটি বালি উত্তোলনের মেশিন জব্দ করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা রুজু করা হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে বালি ভর্তি যানবাহন আটক করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ইজারা প্রাপ্ত বালি মহাল ছাড়া অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...