প্রকাশিত: ১৬/০৮/২০১৭ ৯:১৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০২ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার রতœাপালং আমতলী ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ব্যাপক অনিয়ম, দুর্ব্যবহার ও অব্যবস্থাপনা কারণে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। গর্ভবর্তী মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা মহিলারা চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। এমনকি কর্মরত ভিজিটর ও আয়া বা অন্যান্য কর্মচারী ইচ্ছামত আসা যাওয়ার কারণে কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা যায়, আমতলী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার ঔষুধ, জন্ম বিরতি করন ট্যাবলেট, গর্ভবর্তী মা ও প্রসূতি এবং নবজাতক শিশুর রোগ প্রতিরোধে মূল্যবান ঔষুধ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। দেখা যায় অব্যবস্থাপনার কারণে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। চরম দুর্গন্ধে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে হিমসিম খেতে হয়।

অভিযোগে প্রকাশ, দায়িত্বরত ভিজিটর তসলিমা আক্তার ও কর্মচারী প্রতিমা রাণি বড়–য়ার একগুয়েমী মনোভাব, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার, শিশুদের সাথে বিমতাসুলভ আচরণ করায় অনেকে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে ভয় পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, উক্ত কল্যাণ কেন্দ্রে বিপুল পরিমান সরকারী ঔষুধ মজুদ থাকার পরও দায়িত্বরত ভিজিটর চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মা ও শিশুদের কোন প্রকার ঔষুধ প্রদান করে না। কেউ ঔষুধ চাইলে ধমকের সুরে বলে বাহির থেকে ক্রয় করার জন্য।

শুকলা বালা বড়–য়া বলেন, গর্ভাস্থায় মহিলারা চেকাপের জন্য গেলে দায়িত্বরত ভিজিটর তসলিমা আক্তার ও কর্মচারী প্রতিমাল বড়–য়ার দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। পরিবার পরিকল্পনা ও জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতির নানা রকম ঔষুধ থাকলেও কোন দম্পতিদেরকে ঔষুধ বিতরণ করে না। এমনকি অনেক গরীব মহিলাদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে উল্টো নাজেহাল করে বের করে দেওয়া হয়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গরীব অসহায় রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবার পাশা-পাশি বিনামূল্যে ঔষুধ বিতরণের জন্য সরকার সব কিছু সরবরাহ করেছে। এমনকি গর্ভবর্তী মা’দের চেকাপ ও ডেলিবারী এবং ঔষুধ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে। অনেকের মতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে অফিসের কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে গোপন আতাঁত করে ভিজিটর ও কর্মচারীরা সরকারী দায়িত্ব অবেহেলা ও দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিজিটর ও কর্মচারীগণ গর্ভবর্তী মা ও নবজাতক শিশুদের কোন রকম স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে না। কোন রোগী টাকা দিয়ে ভাল ব্যবহার ও চিকিৎসা করে যারা দিতে পারে না তাদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে। এমনকি তারা ইচ্ছামত আসে এবং ইচ্ছামত চলে যায়। তাদেরকে তদারকি করার কেউ নেই মনে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা অনিন্দ্য বড়–য়া অভিযোগ করে জানান, ভিজিটর তসলিমা আক্তার ও কর্মচারী প্রতিমা বড়–য়া দায়িত্বপালন অনিহা, অনিয়ম, দুর্ব্যবহার সহ নানা ব্যবস্থাপনার কারণে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নাজুক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সরবরাহকৃত সরকারী ঔষুধ মজুদ থাকার পরও তাদের একগুয়েমী মনোভাবের কারণে দরিদ্র ও গরীব রোগীরা বিনামূল্যে ঔষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সচেতন নাগরিক সমাজের দাবী ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দায়িত্বরত ভিজিটর ও কর্মচারী বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...