

মাদক কারবারিদের চক্রান্তে নির্দোষ এক যুবকের জীবন এখন ভয়ানক অন্ধকারের মুখোমুখি। ইয়াবা পাচারে ফাঁসানো হয়েছে রুহুল আমিন (৩২) নামের এক নিরীহ টমটম চালককে। পরিবার ও স্বজনদের দাবিতে, এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা একই এলাকার আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী মাহমুদুল হক (৩৮)। সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটায় উখিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন রুহুল আমিনের ছোট ভাই আব্দুস সালাম, বড় বোন রুজিনা আক্তার ও স্ত্রী রাশেদা বেগম। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার তিন অবুঝ সন্তান ও প্রতিবেশী আজিজ, রফিক এবং নুরু সালাম কোম্পানি।
আমার স্বামী নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছেঃ— স্ত্রী রাশেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী একজন গরিব মানুষ, টমটম চালিয়ে আমাদের পেট চালাতো। মাহমুদুল হক ১৮ মার্চ তাকে গুদাম থেকে চাল আনতে পাঠায়। কিন্তু আমরা জানতাম না সেই চালের বস্তায় ইয়াবা ছিল। ফাঁদ পেতে গ্রেপ্তার করানো হয়ঃ-ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, ১৮ মার্চ দুপুরে রুহুল আমিনকে চাল আনতে বালুখালী ক্যাম্প-৯ এর দিকে পাঠানো হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে চালের বস্তা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, মাহমুদুল হক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইয়াবা পাচারের জন্য রুহুল আমিনকে ব্যবহার করেন, যাতে তিনি নিজে নিরাপদ থাকতে পারেন। এমনকি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদেই এই চক্রান্ত সফল হয় বলে দাবি করেন রুহুল আমিনের ভাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবিঃ-পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী মাহমুদুল হককে আইনের আওতায় আনা হোক। রুহুল আমিনের মতো একজন নির্দোষ মানুষকে চিরদিনের জন্য অপরাধীর তকমা দিয়ে দেয়া যাবে না। মাদকের ছোবলে পুরো সমাজঃ-কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায়, উখিয়া ও টেকনাফ মাদকের ভয়াল থাবায় বারবার আলোচনায় আসে।
বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার দিনদিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের মধ্যেও চক্রটি রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে
পাঠকের মতামত