নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী সৈকতে গতকাল বুধবার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছেন পাঁচতারা হোটেল ‘রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা তিনটায় হোটেলের সামনের সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হোটেলের মহাব্যবস্থাপক অলিভান ক্রুটজ। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সৈকতের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার করেন হোটেলটির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
‘সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্ন রাখি, পরিবেশ বাঁচাই’ এই স্লোগানে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। অভিযান শুরুর আগে অলিভার ক্রুটজ বলেন, পৃথিবীতে কক্সবাজারের মতো এত সুন্দর সৈকত আর কোথাও নেই। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক এই সমুদ্রসৈকতের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে ছুটে আসছেন দেশ-বিদেশের লাখো পর্যটক। তিনি বলেন, ইনানী সৈকতের তীরে পাঁচতারা হোটেলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাঁরা সৈকত এলাকা পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন।
হোটেলের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, আবর্জনা ফেলার কারণে সাগরে থাকা প্রাণী মারা যাচ্ছে। ২০০০ সালের আগস্ট মাসে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যাওয়া একটি তিমি মাছের ময়নাতদন্ত করা হয়। তখন তিমির পেটে পলিথিন, শপিং ব্যাগ আর মাছ ধরার জাল পাওয়া যায়। সাগরে পড়া অধিকাংশ আবর্জনাই ধ্বংস হয় না। যেমন: একটি টিনের ক্যান ধ্বংস হতে সময় লাগে অন্তত তিন বছর, সিগারেটের ফেলে দেওয়া অংশ ১০ বছর, প্লাস্টিক ব্যাগ ১০০ থেকে ৪০০ বছর, অ্যালুমিনিয়াম ক্যান ৫০০ বছর ও একটি মাছ ধরার জাল ধ্বংস হতে সময় লাগে প্রায় ৬০০ বছর। এসব কারণে সাগরে প্রাণীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। এ অবস্থায় সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার কোনো বিকল্প নেই।
হোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুল ইসলাম খান বলেন, পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সৈকতে পড়ে থাকা পলিথিন, ডাবের খোসা, সিগারেটের ফেলে দেওয়া অংশ, প্লাস্টিক ক্যান, চিপসের প্যাকেট পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
পাঠকের মতামত