প্রকাশিত: ০৬/০৮/২০১৬ ৮:৩৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
আপন দেশে পরবাসী সেজে বসবাস করছে উখিয়ার সমুদ্র উপকুলীয় এলাকার অর্ধ লাখ মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তী এতদঞ্চলের ২০ গ্রামের মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা পায়নি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা ইনানী থেকে মনখালী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার প্রতিশ্র“তি দিয়ে ভোট আদায় করে আসছিলেন। নির্বাচনের পর আর তাদের দেখা মেলেনা। ফলে এখানকার বিশাল জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মান্দাতার আমলের কুপি ও হারিকেন ব্যবহার করে অন্ধকার ঘর আলোকিত করছে।

জানা যায়, সোনারপাড়ার রেজু ব্রিজ থেকে মনখালী পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উপকুলীয় চরাঞ্চলের অবস্থান। সোনারপাড়া, নিদানীয়া, ইনানী, মোহাম্মদ শফির বিল, বাইলাখালী, রূপপতি, বোয়াংখালী, ইমামের ডেইল, ছোয়ানখালী, চেপটখালী, মাদারবনিয়া, মনখালীসহ অন্তত ২০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত চরাঞ্চলে ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ সমস্যা সহ অন্তহীন সমস্যার যাতাকলে নিষ্পেষিত এখানকার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী ছিল উপকুলীয় চরাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের। ‘সরকার আসে, সরকার যায়’ কোন সরকারই তাদের এ দাবী পূরণে এগিয়ে আসেনি। তবে প্রত্যেক সরকারের সংসদ সদস্যরা প্রতিশ্র“তি দিয়ে আসছিল উপকুলীয় চরাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন করবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। মৎস্য আহরণ, ক্ষেতখামার, চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল উপকুলীয় এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় সমুদ্র থেকে আহরিত প্রতিবছর লাখ লাখ টন মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে এসব মাছ সংরক্ষণ করে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হতো। এছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে শত শত একর জমি অনাবাদী থেকে যায়। মাদারবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ জানিয়েছেন, উপকুলীয় এলাকার মানুষের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ ও যাতায়াত ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে উপকুলীয় এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হলেও বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা একটু আন্তরিক হলে সমুদ্র উপকুলীয় এলাকায় বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা হবে। মনখালী গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমদ মেম্বার জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর বাজার পর্যন্ত বিদ্যুতায়ন হয়েছে। শাপলাপুর বাজার থেকে মনখালীর দুরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। ৩০/৪০টি বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে চেপটখালীর কাব বিন মাদ্রাসা পর্যন্ত বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা যাবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...