প্রকাশিত: ৩০/০৬/২০১৬ ১০:৩৩ পিএম

index_133623ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিকে পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পররাষ্ট্রসচিব মো.শহীদুল হক।

ইয়াঙ্গুন থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অং সানসুচির সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির হাতে শেখ হাসিনার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চিঠিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন অং সান সুচি। তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের সব চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করা উচিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি রাখাইন রাজ্যের সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকারের জোরালো অঙ্গীকারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

সুচিকে লেখা শেখ হাসিনার চিঠিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং সবাইকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এনএলডি নেতার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করা হয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের আন্তরিক আকাক্সক্ষা সুচির কাছে তুলে ধরেন শহীদুল হক। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব খোলাখুলিভাবে এবং সামগ্রিকভাবে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মিয়ানমারের সঙ্গে অমীমাংসিত সব বিষয়ে সমাধানের জন্য বাংলাদেশ আন্তরিকতা, খোলা মন ও দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে তৈরি আছে বলেও তিনি জানান।

মিয়ানমারের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে নতুন সরকারের অঙ্গীকারের কথা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের কাছে তুলে ধরেন স্টেট কাউন্সিলর। সুচি জানান, কোনো বিষয়কে পাস না কাটিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সুবিধাজনক সময়ে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন সুচি।

পরে শহীদুল হক মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তাঁরা দুই দেশের পাশাপাশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব উ অং লিনের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রসচিব। এসময় তাঁরা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন।

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...