প্রকাশিত: ২৪/০১/২০১৭ ৯:৪১ পিএম

নিউজ ডেস্ক:;

উখিয়ায় তালিকাভুক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী রাজাকার, আলবদর, শান্তি কমিটির লোকজন ও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সরকারের চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির অসচ্ছতার সুযোগে উখিয়ায় অন্তত এধরনের তালিকাভুক্ত ১৩ জন অভিযুক্ত বাছাইয়ে পার পেয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে বরং বিরোধীতাকারী আরো অন্তত ৩০ জনের মত নতুন আবেদীত লোকজন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩দিন ধরে ব্যাপক আপত্তি, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ও  বাকবিতন্ডার মধ্য দিয়ে বির্তকিত ভাবে উখিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম স¤পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উখিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া চৌধুরী, শহীদ পরিবারের সদস্য হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, রনাঙ্গনের সম্মুখে মুক্তিযোদ্ধা বিডিআরের (অব:) ল্যান্স নায়েক আবু বক্কর ছিদ্দিক সহ প্রকৃত বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানকার যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া ব্যাপক অসচ্ছ, ত্রুুটিপূর্ণ ও রাষ্ট্রের নীতি পরিপন্থি। ২০১১ সালে উখিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড প্রনীত তালিকায় ৭নং ক্রমিকধারী আলী আকবর বাঙ্গালী মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সে এখানের যাচাই বাছাই কমিটির একজন সদস্য। উখিয়া থানা শান্তি কমিটির ১৯নং তালিকাভুক্ত মৌলভী আবদুল জব্বারের দুই ছেলে কেফায়ত উল্লাহ ও রাহমহ উল্লাহও মুক্তিযোদ্ধা। রতœাপালং ইউনিয়নের রাজাকার তালিকায় ১২নং রাজাকার সদস্য কেফায়েত উল্লাহ। তাদের আরেক ভাই রতœাপালং ইউনিয়ন শান্তি কমিটির তৎকালীন নেতা ছালামত উল্লাহকেও গতকাল নতুন ভাবে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রাজাকার তালিকার ২৪নং সদস্য জাফর আলম ও মফিজুর রহমান। তৎকালীন মুসলিম পরিবারের সদস্য যিনি ১৯৭১ সালে এলাকার বাইরে চট্টগ্রামের ওয়াজদিয়ায় অবস্থান করত এসএম ইসহাক চৌধুরী,  চট্টগ্রাম বিভাগীয় জনৈক প্রভাবশালী তৎকালীন আল বদর নেতার প্রতিবেশী হিসাবে তার আশ্রয়ে থাকা ধনঞ্জয় ঘোষ, ১৯৭১ সালে উখিয়া সদরে শান্তি কমিটির নেতার ছেলেদের শিক্ষক হিসাবে নিরাপদে থাকা ও জুলাই মাসের দিকে বার্মা পালিয়ে গিয়ে দেশ স্বাধীনের পর নিরাপদে দেশে ফিরে আসা অনেক অমুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে না গিয়েও অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে বীরদর্পে সুবিধা ভোগ করছে।
উল্লেখিত সচেতন লোকজনের সাথে একমত পোষণ করে উখিয়া আ’লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, গতকাল যাচাই বাছাই কালে উপস্থিত থেকে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ব্যাপক আপত্তি ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ অভিযুক্ত বির্তকিত লোকজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পার পেয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে এক্ষেত্রে জনৈক মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কমিটি কর্তৃক নানা ভাবে হেয় করতেও লক্ষ্য করা গেছে। হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও শহীদ পরিবারের সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, উখিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরও কথিত যাচাই বাছাই কমিটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে লোক দেখানো নাটকীয় ভাবে যাচাই বাছাই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত রাজাকার সহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বাদ দেওয়া না হলে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন হিসাবে আমরা আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। এব্যাপারে গতকাল বিকেলে যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি এম এ রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...