হুমায়ুন কবির জুশান ( উখিয়া কক্সবাজার )
দিনবাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উখিয়ায় নাগরিক সমস্যা। উখিয়ায় রোহিঙ্গা আসায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের গতি বেড়েছে। কিন্তু কর্রতৃপক্ষের নজরদারীর অভাব আর নাগরিকদের অসচেতনতায় ক্রমেই ময়লার স্তূপ জমে উঠছে উখিয়ার আনাচে-কানাচে। উখিয়ার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে যেন কেউ নেই। বিশাল একটা নাগরিক অংশ উখিয়া উপজেলা গেইটের সামনে রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় পরিত্যক্ত নগরীতে পরিনত হচ্ছে। গত ২ ডিসেম্বর জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা উখিয়া নিউজ ডটকমে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের পর উখিয়া উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নিকারুজ্জামানের নির্রদেশে স্মেপের তত্তাবধানে এই পরিস্কার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা ব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে। উখিয়ার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা হবে ছকছকে পরিস্কার। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ থাকবে ছবির মতো সুন্দর। রোহিঙ্গাদের কারণে বদলে গেছে উখিয়া। গিছগিছ করছে মানুষের পদচারনায়। একদিকে যানজট, অন্যদিকে জনজট। সময়ের ব্যবধানে অর্রথনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি হারাতে বসেছে উখিয়ার সৌন্দর্রয। প্রশাসনের তদারকি ও উদারতা এবং জনগনের সচেতনতায় পারে একটি সুন্দর উখিয়া উপহার দিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্রেযর লীলাভূমি উখিয়ার মুক্ত বাতাসে ঘুরে-বেড়ানো সেই শৈশবের স্মৃতি এখনো অম্লান হয়ে আছে অনেকের কাছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাও ছিল উখিয়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য। সেই ঐতিহ্য ফিরে আনতে উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার এই অভিযান দেখে ইউএনও মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর ১২ লক্ষ রোহিঙ্গার ছাপ পড়েছে উখিয়ার ঘাডে। ফলে বন উজাড় ও পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ধুলোবালিতে উখিয়া হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। উখিয়া ডাক বাংলো সড়ক দিয়ে মহিলা কলেজের ছাত্রীদের যেতে হয় মুখে রোমাল দিয়ে। এই সড়কের পাশেও রয়েছে বিশাল ময়লার স্তূপ। পুরো উখিয়া ঘুরে পাওয়া চিত্রে দেখা যায়, সড়কের পাশে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ময়লার স্তূপ। ব্যবহারের পরই মানুষ উচ্ছিষ্ট ফেলে দিচ্ছে রাস্তার পাশেই। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ময়লাও ভাড়াটিয়েরা ফেলছে রাস্তার ওপর। পুরো উখিয়াকে পরিচ্ছন্ন নগরে পরিনত করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। নাগরিকদের অসচেতনতায় এক সময়ের পরিচ্ছন্ন উখিয়া আজ অপরিচ্ছন্নতায় রুপ নিয়েছে। এখন সেই অপরিচ্ছন্নতা আর দেখা যাবে না। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়ন দরকার। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি উখিয়াবাসীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সবকিছু দেখভালের দায়িত্ব নাগরিক হিসেবে উখিয়াবাসীরও আছে। এটা পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার আগে সচেতন হতে হবে।
পাঠকের মতামত