প্রকাশিত: ০৫/০৯/২০১৯ ৯:২১ পিএম

আজকে(০৫/০৯/২০১৯) শেডও আইওএমকে জড়িয়ে হঠাৎ যে খান্ডটা হল তা আসলেই দুঃখজনক।স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মজুতকৃত Disaster Kit কে যেভাবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হলো এবং রোহিঙ্গাদের নামে চালানো হল তা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।সকলের মনে রাখা উচিত শেড কেবল বাংলাদেশী সংস্থা নয় বরং কক্সবাজার জেলার টেকনাফেরই একটি সংস্থা।জন্মলগ্ন থেকেই শেড কখনো কোন রাস্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলনা এবং নেই।শেড জাতীয় পর্যায়ের একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্যনিরাপত্তা জোরদা রকরণ,শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার বাস্তবায়ন, দূর্যোগ ব্যববস্থপনা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে শেড সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে আসছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অদ্য ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় শেড এর মালভিটাপাড়াস্থ র্কাযালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের নেতৃত্বে স্থানীয় উপকারভোগীদের জন্য দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কর্তৃক সরবরাহকৃত কিছু মালামাল সন্দেহবশত জদ্ধ করে উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে দেওয়া হয়। জদ্ধকৃত মালামালগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কর্তৃক সরবরাহ করা হয়েছিল, যা উখিয়া উপজেলার তুলাতলী, পাইন্যাশিয়া, হাতিমোরা ও রহমতেরবিল নামক গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের Disaster Kit (দূর্যোগ সরাঞ্জম) হিসাবে বিতরণের জন্য মজুত করা হয়েছিল, যা কেবল দূর্যোগকালীন বিতরণের নির্দেশনা ছিল। উল্লেখ্য জদ্ধকৃত মালামাল ১০০% বাংলাদেশী স্থায়ীয় বাসিন্দাদের জন্যই আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কর্তৃক শেড কে প্রদান করা হয়।এভাবে লোকাল সংস্থাগুলো বিরুদ্ধে নিউজ এজেন্সিগুলো ভুলভাবে লিখলে হয়ত প্রাথমিক ক্ষতিটা সংস্থাগুলোরই হলেও স্থানীয় জনগোষ্ঠীরাই বেশি ক্ষতি হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।খবর নিয়ে দেখেন একমাত্র লোকাল এনজিওতেই ৯০ শতাংশের বেশি স্থানীয় লোকজন কর্মরত আছে।যদি স্থানীয় সংস্থাগুলো কারো অপশক্তির শিকার হয় তাহলে বুঝতে হবে এলাকায় কাজ করার জন্য সেই সাদা চামড়া ও কালো চামড়াদেরই দৌরাত্ম বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।ভুল তথ্যের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত না করে বরং আসুন সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ও সঠিক তথ্য জেনে স্থানীয় সংস্থাগুলোর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিই।

জিয়াউর রহমান মুকুল,
মানবিক ও উন্নয়ন কর্মী,
শেড,কক্সবাজার।
email:[email protected]

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...