প্রকাশিত: ১৮/০৪/২০১৯ ১১:২৩ এএম
উখিয়া ষ্টেশন মসজিদের দরজার ফ্লোরে শুয়ে আছেন এক ভবঘুরে বৃদ্ধলোক।

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::

উখিয়া ষ্টেশন মসজিদের দরজার ফ্লোরে শুয়ে আছেন এক ভবঘুরে বৃদ্ধলোক।

কেউ কাঁথা সেলাই করা কাপড় পরে ঘুরছে, আবার কেউ ছিড়া কাপড় পরে পাগলের অভিনয় করছে। অনেককে দেখা যায়, মসজিদের দরজার ফ্লোরে শুয়ে অলস সময় পার করছে। উখিয়া সদর ষ্টেশনে কিছুক্ষণ আবার কোটবাজারে কিছুক্ষণ, এমনি করে সারা উখিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ভবঘুরে অসহায় মানুষগুলো। স্থানীয়রা বলছেন, ভবঘুরে বেশ ধরে অনেকে গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করতে পারেন। যেহেতু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত সীমান্ত উপজেলা উখিয়া। কিছু মানুষকে বিভিন্ন রুপ ধারণ করে চলতে দেখা যায়। মানুষগুলো দেখতে দেখতে আবার উধাও হয়ে যায়। তাদের মধ্যে মগ্ন হয়ে কী যেন ভাবছে কেউ কেউ। মসজিদের ফ্লোরে, স্কুলের বারান্দায়, রাস্তার পাশে মার্কেটের ওপর শুয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে ক্লান্ত পথিক। তারই মাঝে দু-একজন পথচারি এদিক-সেদিক হেঁটে বেড়াচ্ছে। এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে উখিয়ার সর্বত্রই। উখিয়ার অলি-গলিতে ভাসমান ভবঘুরেদের পদচারণায় আর এনজিও কর্মীদের হৈ- হুল্লোড়ে মুখরিত। সকাল, বিকেল কিংবা রাতে ভাসমান মানুষের দৌরাত্ন্য চলে সবখানে। সরেজমিন দেখা যায়, উখিয়া এখন রোহিঙ্গা উদ্বাস্ত্ত, ভবঘুরে, মাদকসেবী, ইয়াবা সিন্ডিকেট, নারী-শিশু পাচারকারি, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গড়ে ওঠা একাধিক চক্র ও স্ন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অপকর্মে জড়িত মানুষের অভয়ারণ্য। জনপ্রতিনিধি এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন মাদক, খুনাখুনিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এনজিওতে চাকরির সুবাধে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের বসবাস উখিয়ায়। তারা ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করছে। কে ভাল কে মন্দ তা বুঝার উপায় নেই। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো দরকার। আমরা সবাই এখন হুমকির মুখে। সমাজ কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রবেশ মুখের পশ্চিম পাশে, গরু বাজার, দারোগা বাজার, কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, কুতুপালং, বালুখালী ও থাইংখালী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি।আর ধুলো-বালির শহরে পরিণত হয়েছে উখিয়া। উখিয়া সদর ডিস্পেনসারির পাহাড়ে বখাটে ও নেশাখোরদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। খাদ্য গুদামের পাশে এক ব্যক্তি প্রকাশ্যেই প্রস্রাব করছেন। যে কেউ প্রবেশ করা নিষেধ। এখানে নিয়মের বাইরে কোনো কার্য ঘটলে তার জন্যি আর্থিক জরিমানাসহ শাস্তি রয়েছে। কিন্তু তেমন শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কখনও দেখেনি কেউ।এডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, উখিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কিন্তু এটি এখন ভাসমান মানুষের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এটি তার সৌন্দর্য হারাবে অচিরেই।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...