প্রকাশিত: ১২/০১/২০২০ ৯:৫৯ এএম

জিয়াং জেমিনের দীর্ঘ ১৯ বছর পর আগামী সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মিয়ানমার সফর করবেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইয়ন টেভিশনের প্রতিবেদন এ খবর পাওয়া গেছ । সফরকালে চীরা প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারে চীনা বিনিয়োগে চলমান প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করবেন।

এসময় তিনি বিতর্কিত কাচিন রাজ্যের থেমে থাকা একটি বন্দর ও বাধ প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার উদ্যোগ নেবেন। এই উপলক্ষে গত শুক্রবার মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচি চীন সীমান্তের কাচিন রাজ্য সফর করেন।

ঐহিত্যবাহী পোশাকে সুচি কাচিনের রাজধানী মাইটকাইয়ানার একটি মিছিলে সমর্থকদের সঙ্গে পথনৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। এদিন হর্ষোৎফুল্ল জনতা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। পথসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি সকলকে বর্তমানের প্রতি মনোযোগী হতে বলেন এবং প্রান্তিক এলাকা পর্যন্ত শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। কারণ এখানে সায়ত্ত্বশাসন ও সম্পদ নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ বিদ্যমান রয়েছে।

বক্তৃতায় তিনি চীনের অর্থায়নে নির্মিত মাইটসোন বাধ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনশ’ ষাট কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাধটির কাজ তীব্র বিরোধিতার মুখে ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর এই বাধের কাজ পুনরায় শুরু করার প্রস্তাবে হাজার হাজার লোক প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে।

চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেল্ট এ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে জল ও স্থলে সংযোগ ঘটবে।

চীনের ভাইস-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুয়ো জাওহুই শুক্রবার বলেছেন, জানুয়ারি ১৭ ও ১৮ – এই দুই দিনের মিয়ানমার সফরকালে শি দেশটির রাজনৈতিক ও সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনাশিয়াটিভ নিয়ে আলোচনা করবেন।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...