প্রকাশিত: ০৫/১১/২০১৯ ৯:৫৬ পিএম

আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। পরে সেই নির্যাতনের একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর সংবাদ প্রচার হয় গণমাধ্যমে। অবশেষে সেই নারীকে উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ। বর্তমানে সে সৌদিতে বাংলাদেশে দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ তার স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তার স্ত্রীর চিকিৎসাও করানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগও হচ্ছে। এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো পরিবার। সুমিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, তার প্রথম স্ত্রী ঘরে দুই ছেলে সন্তান রেখে মারা যায়। এর পরে তিনি চার বছর আগে আবারও বিয়ে করেন। তবে তার রেখে যাওয়া দুই ছেলের কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না দ্বিতীয় স্ত্রী। এরই কারণে তিনি গত দুই বছর আগে আবারও সুমিকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রী ও সুমির সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। আবার পরিবারেও অভাব ছিল।

অভাবের তাড়নায় চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে সুমি আক্তার চাকরির জন্য সৌদিতে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর এক বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর চাকরি দেওয়া হয় তাকে। তবে ঠিকমতো খেতে দেয় না ওই মালিক। প্রতিনিয়ত তকে মারধরসহ তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। লুকিয়ে লুকিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে হয়। তাদের নির্যাতনের কারণে তার স্ত্রী চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় না। হাতে গরম পানিও ঢেলে দেওয়া হয়েছে।

এসব ঘটনা শোনার পর নুরুল ইসলাম নিজেও তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছেন। নিজে বাদী হয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে রূপসী বাংলা এজেন্সির মালিক আক্তার হোসেনের নামে পল্টন থানায় একটি জিডি করেন।

নুরুল ইসলামের বাবা ইব্রাহিম বলেন, সৌদি যাওয়ার পর থেকেই তার ছেলের বউয়ের ওপর নির্যাতনের খবর তিনি শুনতে পায়। এরপর থেকেই তারাও সুমি বেগমকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছেন। তার ছেলের বউকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...