প্রকাশিত: ২১/০৬/২০১৯ ৭:০৩ পিএম , আপডেট: ২১/০৬/২০১৯ ৭:৪১ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রায় অর্ধশত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হলেও আইনের আওতায় আসেনি অনেক ইয়াবা কারবারিরা।

এছাড়া উখিয়া টেকনাফে গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার বাইরেও রয়ে গেছে বহু মাদক কারবারি। তারা কতিপয় অসৎ সীমান্তরক্ষী ও পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ কারবার।

জানা যায়, উখিয়ার পাশ্ববর্তী নাইক্ষৎছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার জয়নাল আবেদিন একজন ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি বরাবরই অধরা রয়ে গেছেন।
বেশ কয়েকজন বাঘা বাঘা মাদক সম্রাটের গ্রেপ্তারের পরও নিজের অবস্থান টিকিয়ে সীমান্তে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রকাশ্যে পাচার করছে হাড়িহাড়ি ইয়াবা। ধ্বংস হচ্ছে দেশ তথা দেশের যুব ও ছাত্রসমাজ। সে একবার ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে জেলও খেটেছিল।

ঘুমধুম সীমান্তে জয়নাল আবেদীন ইয়াবা ব্যবসা করে গত কয়েক বছরে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নামে বেনামে ঘুমধুম এলাকায় জায়গা জমি কিনে সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছেন। অথচ দুয়েক আগেও সে উখিয়ার হেলাল স্টোরে চাকরি করতো। এরপর উখিয়ার জাকের মার্কেটে একটি দোকান দিয়ে দেউলিয়া হয়েছিল। কিন্তু মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে আজ কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে।

জয়নালের ঘরের বাউন্ডারি

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে মতে, জয়নাল সম্প্রতি ঘুমধুমে নির্মান করেছেন কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাশবহুল বাড়ী। এছাড়া কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় ওয়ার্ল্ড বীচ হোটেলে তার ফ্ল্যাটের ব্যবসা আছে।

সূত্রমতে, ইয়াবা জয়নালের নেতৃত্বে পুরো উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন সিন্ডিকেট মোটা দাগের ইয়াবা লেনদেন ও পাচার কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এ কাজে পারদর্শী বিত্তহীন থেকে কোটিপতি হওয়া উক্ত জয়নাল নিজেকে একজন এনজিওকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কালো টাকাকে সাদা করতে ব্যস্ত।

সচেতন অভিভাবকদের অভিমত, বর্তমান ভয়াবহ জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যেসব কিশোর, যুবক জড়িয়ে পড়েছে, তাদের একটি অংশ মাদকাসক্ত ও মাদক পাচারের সাথে কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মতে, কারা ইয়াবা পাচার করে বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে, তাদের সম্পর্কে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সমাজের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বা নজরদারির দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, আগামী প্রজন্ম খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।

এলাকাবাসী আরো জানায়, সীমান্তের অপরাধজগত ও নানা অপকর্মের অন্যতম ইয়াবা ব্যবসায়ী জয়নালকে গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে ইয়াবা পাচারসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তাদের পেছনে কারা শক্তি জোগাচ্ছে তাদেরও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সরকার মাদক নির্মূলে খুবই কঠোর এবং বদ্ধপরিকর।

ফলে তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়া আসা হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...