প্রকাশিত: ০৩/০৪/২০২০ ৭:১৮ পিএম

বাসায় খাবার যা ছিল, তা ফুরিয়ে গেছে। বাইরের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও বন্ধ। শেষ পর্যন্ত ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করলেন তিনি। ইউএনও ফোন ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় দেন তিনি একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ইউএনও ফোন পেয়েই ওই শিক্ষকের বাড়িতে রান্না করা খাবার ও খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক জানালেন, পেটে দেওয়ার মতো কোনো খাবার তাঁর ঘরে নেই। বেতনের টাকাও শেষ হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে ভাত খেতে পারেননি। ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। টেকনাফ পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। খাওয়াদাওয়া করতেন হোটেলে। এখন হোটেল বন্ধ থাকায় তিনি ঠিকমতো খেতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ইউএনওকে ফোন করেন। ফোন পেয়ে ইউএনও গতকাল রাত আটটার দিকে টিফিন ক্যারিয়ারে করে ভাত, ডাল, ডিম ও আলুর তরকারি পৌঁছে দিলেন ওই শিক্ষকের কাছে। সেই সঙ্গে তাঁকে রান্না করে খাওয়ার জন্য আট কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, এক কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম তেল ও ১২টি ডিম দেওয়া হয়েছে।

ওই শিক্ষক বলেন, ‘ছুটিতে মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে যাইনি। ভেবেছিলাম একটি টিউশনি করে চলব। কিন্তু সেই অবস্থাও নেই। এরই মধ্যে খাবার শেষ হওয়ায় রাতে ইউএনও স্যারকে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে লোকজনকে ঘরে থাকতে বলে এসেছি। প্রয়োজনে খাবার আপনার ঘরে পৌঁছে যাবে বলে আমরা জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমি সরকারি নির্দেশনা পালন করছি মাত্র।’

পাঠকের মতামত

বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ...