প্রকাশিত: ১৪/১০/২০১৭ ১১:৩৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:১৮ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গাদের ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরী ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পে টানিয়ে দেয়ার ঘটনার মূল হোতাকে অবশেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম মাহবুব আলম মিনার (৩০)। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কক্সবাজার শহরের লাহারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইন চার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মিনার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরী ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় টানিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।

তার কাছ থেকে কিছু কিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হবে। মিনারের পিতার নাম আব্দুর রশিদ। কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর নিদানিয়াতে তার বাড়ি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাহবুবুল আলম মিনার সক্রিয় হয়ে ওঠে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমান চাঁদা তোলে।

এরপর সে রোহিঙ্গাদের নগদ টাকা ও ত্রাণ দেয়। বিভিন্ন কৌশলে রোহিঙ্গাদের প্রভাবিত করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবাধে যাতায়াত করে এবং কথা বলে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সে ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার লিখে রোহিঙ্গাদের আন্দোলনে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছিল।

মিনারের সঙ্গে একটি মৌলবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তাকে আরো পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মিনার রোহিঙ্গাদের জোরালোভাবে সহযোগীতার জন্য কাতার, মালয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে বড় ব্যানার লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে।

ওই ব্যানারে মিনার নিজের নামের সঙ্গে অর্থ দিয়ে সহযোগীতাকারী ৫ জন প্রবাসীর নামও উল্লেখ করে। ত্রাণ দাতার হলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলালউদ্দিন, মাওলানা নোমান, মো: খালেদ, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী নুরুল কবির ও কাতার প্রবাসী মো: জয়নুল আবেদীন। ওই ব্যানারে মিনার নিজেকে কক্সবাজার জেলা ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়াক’ এর ইনচার্জ বলে দাবী করেছে।

পুলিশ জানায় এছাড়া মিনার ভ’য়া পরিচয় দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে জানা গেছে। সে কখনো কখনো নিজেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, আবার কখনো কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে বলেও জানা গেছে।

পাঠকের মতামত