প্রকাশিত: ১০/০১/২০২০ ১০:১৩ এএম

সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশকে (জেএমবি)কে দিয়ে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করার জন্য আর্থিক সাহায্য করছে পাকিস্তান। পাশাপাশি ভারতে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস-ইন্ট্যালিজেন্স(আইএসআই) রোহিঙ্গাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে,তেমনই বিস্ফোরক তথ্য দিচ্ছে ৯ জানুয়ারী প্রকাশিত ‘আজ তাক’-এর এক প্রতিবেদনে।

তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কক্সবাজারের শরনাথী শিবিরে বসবাসরত ৪০ জন রোহিঙ্গাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রসঙ্গত,২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও দমন নির্যাতন শুরু করলে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।আর কক্সবাজারে বর্তমানে প্রায় ১২লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।

সূত্রগুলি আরও জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, জামায়াত-উদ-দাওয়া, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হাফিজ সাঈদের সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ও আল খিদমত ফাউন্ডেশনের অনেক এজেন্টও রোহিঙ্গাদেরকে উগ্রপন্থী করার জন্য কক্সবাজার অঞ্চলে সক্রিয়।

সূত্র জানিয়েছে যে প্রশিক্ষণের জন্য প্রথম কিস্তিতে ১ কোটি টাকারও বেশি তহবিল এসেছে।সূত্রের খবর, আইএসআই সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইউনাইটেড কিংডম এবং পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পর, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এবং রকে জেএমবি ও রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী সংযোগগুলির তদারকি পর্যবেক্ষণ করতে সতর্ক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে, বিএসএফের প্রতিবেদনে সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদ এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে জোটবদ্ধ সম্পর্ক প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে,জাইশ হ্যান্ডলাররা রোহিঙ্গাদের উগ্রপন্থী করছে।

সূত্র জানিয়েছে যে বাংলাদেশে উপস্থিত জয়শ-ই-মোহাম্মদের হ্যান্ডলার মাওলানা ইউনুস সম্প্রতি চার রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসী হামলায় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের চট্রগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুণ্ড অঞ্চলে অবস্থিত হরিণামারার পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশের সক্রিয় জাইশ স্লিপার সেলের মাধ্যমে তাদেরকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের পথে চালিত করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে উখিয়ায় সরঞ্জামসহ নব্য জেএমবির এক সদস্যকে আটক করেছিল র‌্যাব-৭। মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে উখিয়ার কোটবাজার হাজী নজু মিয়া মার্কেট থেকে তাকে আটক করে। আটককৃত জেএমবি সদস্য চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার লালানগর মুন্সীবাড়ি গ্রামের জামশেদ চৌধুরীর পুত্র মো: শরফুল আউয়াল (৩০)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল সেট, ৩টি সিম, ২টি পেন ড্রাইভ ও ১টি ট্রাভেল ব্যাগ পাওয়া যায়।

এছাড়া ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভোরে পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় জেএমবি সদস্য মোঃ ইসমাইল (৩৩)।সে ছিল অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা এবং সে টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্প-১ এ আশ্রিত রোহিঙ্গা আব্দুল নবীর পুত্র। সুত্র:কক্সবাংলা

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...