প্রকাশিত: ২০/০৩/২০১৮ ১০:০১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১২ এএম

নুরুল কবির, বান্দরবান:

বান্দরবানের থানছি উপজেলার দূর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের সাঙ্গু রির্জাভ ও আলিকদম উপজেলার কুরুক পাতা ইউনিয়নের দূর্গম মাতামূহুরী রিজার্ভ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী , মারমা, ত্রিপুরা সম্প্রদায়। দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় জীবিকা নির্বাহের অন্য কোন মাধ্যম না থাকায় এদের সবাই জুম চাষ ও বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এসব পাহাড়ীরা বনজ সম্পদ আহরণ করতে না পারায় এবং জুম চাষে ফলন না হওয়ায় কর্মসংস্থানের অভাবে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমাচ্ছে মিয়ানমারে। তবে এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কিছু দালাল চক্র বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিবার প্রতি পাঁচ একর জায়গা জমি, চাষের জন্য গরু, নগদ অর্থ দেয়ার পাশাপশি পুর্নবাসনের লোভ দেখিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যাচ্ছে। তবে পাড়ি জমানো বাসিন্দারা বলছেন আমরা জুমচাষ করে খাই,বনের গাছপালা কেটে বিক্রি করে জীবন ধারন করি।কিন্তু বর্তমানে জুম চাষও হয় না বনের গাছ বাশঁ ও কাটতে পারি না, তো আমরা খাবো কি বাচঁবো কিভাবে? তাই বেঁচে থাকার জন্য জীবিকার তাগিদে মায়ানমার চলে যেতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন মেম্বার বলেন একটা দালাল চক্র তাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের কে সাত বছরের বিনামূল্যে খাওয়া-দাওয়া,চাষের জমি,গরু,নগদ অর্থসহ মিয়ানমারে পূণর্বাসনের কথা বলে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেখানে তাদেরকে কিছুই দিচ্ছে না তারা সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে । অনেকে ফিরেও আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারে দীর্ঘদিন থেকে চলা জাতি গত নিপিড়নে প্রায় সাত লাক্ষও বেশি রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ঠিক সে সময়ে পাবত্য জেলা বান্দরবানের দুর্গম থানছি ও আলীকদম উপজেলায় একটি দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চক্রটি নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় সীমান্তের পাশে বসাবাসরত গরীব অসহায় পাহাড়ীদের নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে।

থানছির রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মার্মা বলেন, গত এক বছরে বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন উপজেলা থানছি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে প্রায় তিনশত বেশি মারমা ও ¤্রাে পরিবার মিয়ানমারে পাড়ি জমিয়েছে বলে জানান ।

চলতি মার্চ মাসে থানছি উপজেলা থেকে ৩৬ ও আলীকদম উপজেলা থেকে ২০ পরিবার মিয়ানমারে চলে গেছে। গত ১৩ মার্চ আলিকদম উপজেলা থেকে মিয়ানমার যাওয়ার পথে মাইন বিস্ফোড়নে এক ¤্রাে পরিবার প্রধান নিহত হয় ও আহত হয় শিশুসহ তিনজন আহতদের এখনো আলীকদম হাসপাতারে চিকিসা চলছে।

থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লা চিং মার্মা, বলেন, থানছি উপজেলার দূর্গম রেমাক্রী এলাকা থেকে কর্মসংস্থানের অভাবে প্রায় সময়ই দরিদ্র জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে পাড়ি জমায় জীবিকার তাগিদে। এটা নতুন কিছু নয়। তবে মিয়ানমারে ঝামেলা হওয়ার পর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর থেকে অনেক দালাল চক্রের সৃষ্টি হয়েছে যারা নতুন করে তাদেরকে সেখানে পূণর্বাসনের কথা বলে নিয়ে যায় কিন্তু সেখানে তারা কিছুই পায় না পরে আবার ফিরে আসে।

এদিকে,জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকরা যাতে মিয়ানমার পাড়ি না জমায় সে লক্ষে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের বাড়িঘর গুলো যাতে ঠিক থাকে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষন করা হবে যাতে তারা ফিরে আসলে নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারে ইতি মধ্যে এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ প্রধান করা হয়েছে। সুত্র সিবিএন

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...