চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন ছাড়া কেউ বিয়ে করতে পারবেন না। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জীবননগর উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এনজিও সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করা জীবননগর উপজেলা লোক মোর্চার আয়োজনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
জীবননগর উপজেলা লোক মোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী আল মাসুম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মাহবুবর রহমান বাবু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জি এ জাহিদুল ইসলাম, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজল, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসার সভাপতি আবু জাফর, সাংবাদিক কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, আকিমুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জীবননগর উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত করতে সহযোগিতাকারী, কাজী এবং অভিভাবকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সবাই দাবি করেন বিয়ের আগে বয়স প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র ছাড়া কোনো কাজী বিয়ে পড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র: জাগো নিউজ
পাঠকের মতামত