প্রকাশিত: ১৭/০৩/২০১৮ ৯:৫৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১৯ এএম

নিউজ ডেস্ক ::

পরকীয়ার অভিযোগে এক নারীর সারা শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে সাজা দিলেন অপর পক্ষের স্ত্রী ও তার বোনেরা। এতে ভুক্তভোগী নারীর সারা শরীরে ফোসকা পড়ে গেছে। ঘটনাটি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম এলাকার।এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাসার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে

ডাসার থানা পুলিশ জানায়, নবগ্রাম ইউনিয়নের ডাসার এলাকার শাহ আলম লস্করের সঙ্গে নবগ্রাম এলাকার সরোয়ার শিকদারের স্ত্রী নাজমা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। এর জেরে শাহ আলম শিকদারের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। শাহ আলমের স্ত্রীর শেফা বেগম বিভিন্ন সময় এই অনৈতিক সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসার অনুরোধ করলেও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি শাহ আলম ও নাজমা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহ আলমের স্ত্রী শেফা বেগম, বোন ময়না ও মুনজিলাসহ ৪ থেকে ৫ জন মিলে নাজমা বেগমকে মারধর করে সারা শরীরে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা নাজমা বেগমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এই ঘটনায় নাজমা বেগম ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে শাহ আলম লস্কর বলেন, আগে সমস্যা ছিলো। এখন আর সমস্যা নেই। তবুও মানুষ আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে। আমরা স্ত্রী অন্যের কথায় নাজমার উপর আক্রমণ করেছে। আমরা নিজেরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।নাজমা বেগম বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। বিনা কারণে আমাকে মারধর করে শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়েছে।

ডাসার থানার ওসি (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে নাজমা বেগম থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তবে বিষয়টি আমরা মিমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। মিমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...