প্রকাশিত: ১৫/০২/২০২০ ১১:১৩ এএম

কক্সবাজারে জাতীয় দলের দুই তারকা মুশফিক ও নাঈমের লড়াইটা বেশ জমেছে। অভিজ্ঞ মুশফিক এক প্রান্ত আগলে ধরে রাখলেও আরেকপ্রান্তে স্পিন বিষে নাস্তানাবুদ করেন চট্টগ্রামের তরুণ তারকা নাঈম হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে একদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নর্থ জোনকে যেমন টেনে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম, ১৪০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে। অন্যদিকে তেমনি একাই লড়লেন ইস্ট জোনের নাঈম হাসান, প্রতিপক্ষের দশ ব্যাটসম্যানের ৮ জনকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন তরুণ অফস্পিনার।

বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে শুক্রবার কক্সবাজারে মুখোমুখি হয়েছে নর্থ জোন ও ইস্ট জোন। মুশফিকের লড়াইয়ের পর ২৭২ রানে অলআউট হয়ে গেছে নর্থরা। স্বস্তিতে নেই ইস্টও। শেষ বিকেলে ৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে দলটি।

ফিরে গেছেন ইস্টের দুই ওপেনারই। পিনাক ঘোষ ৩ রান করলেও তার উদ্বোধনী সঙ্গী মোহাম্মদ আশরাফুল রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

পিনাক-আশরাফুলের ব্যর্থতার আগে সারাদিন মুশফিক ও নাঈমের বীরত্বের গল্প। ওয়ানডে ঢংয়ে এগিয়ে নেয়া ইনিংসটা দারুণ এক ছক্কায় ৯৯ থেকে তিনঅঙ্কে নেন মুশফিক। পেসার হাসান মাহমুদের বল সীমানার উপর দিয়ে উড়িয়ে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। ১১৭ বলে আসে প্রথম শ্রেণিতে তার ১১তম শতকটি।

নিজের রানের সঙ্গে ধুঁকতে থাকা নর্থকে আড়াইশ পার করে নেয়ার স্বস্তি মিলেছে মুশফিকের। দলের অর্ধেকের বেশি রান এসেছে তার ব্যাটে। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১১৭ বলে ১৪ চার ও সেই ছক্কায় সেঞ্চুরি তুলে আরও দুটি চারে থামেন ১৪০ করে।

মুশফিকের দিনে সমানতালে আলো কেড়েছেন ইস্টের ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান। প্রথম শ্রেণিতে ষষ্ঠবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। আগেও ইনিংসে ৮ উইকেট পেয়েছেন, এদিন ৩৫.৪ ওভার বল করে ১০৭ রানে ৮ উইকেট তার দখলে।

নাঈমের ঘূর্ণি ম্যাজিকের দিনে সাজঘর-টু-বাইশগজ আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন রনি তালুকদার ২৮, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৮, তানবির হায়দার ৪, নাঈম ইসলাম ৩১, আরিফুল হক ৪, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৩, সালাউদ্দিন শাকিল ৩ ও সানজামুল ইসলাম ২৯ রানে, আর চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

নর্থের বাকি দুই উইকেট তুলেছেন ইস্টের পেসার হাসান মাহমুদ। যার মাঝে আছে মুশফিকের উইকেটটিও।

পাঠকের মতামত