প্রকাশিত: ২৩/০৫/২০২০ ৭:২৯ পিএম

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
ঈদুল ফিতরের দিন কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দীদের জন্য কোন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা যাবেনা। বাইর থেকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে, এ আশংকায় কারা অধিদপ্তর এব্যবস্থা নিয়েছেন।

বিষয়টি কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মোকাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, কারাগারের ভিতরে বাইর থেকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের কোন নিয়ম না থাকলেও সরকার প্রতি বছর বিশেষ বিবেচনায় ২ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন বন্দীদের স্বজনদের পাঠানো খাদ্য সামগ্রী কারাগারের অভ্যন্তরে সরবরাহ করার সুযোগ দিতেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এ বছর সে সুযোগ আর দেওয়া হচ্ছে না।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মোকাম্মেল হোসেন জানান, ঈদুল ফিতরের দিন কারাগারে অভ্যন্তরে বন্দীদের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে উন্নত ও পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদের একদিন পর আরো একটা উন্নত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের আয়োজন করা হবে। এটি জেলা কারাগারের প্রিজন ক্যান্টিনের লভ্যাংশের অর্থ থেকে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান, তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, এজন্য বন্দীদের স্বজনদের মন খারাপ করার কিছুই নেই। করোনা থেকে বন্দীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি ঈদুল ফিতরের দিন কোন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কারা ফটকে না আসার জন্য বন্দীদের স্বজনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্দীদের ভীড় এত বেশী অনেক চেষ্টা করেও কারাগারের অভ্যন্তরে সরকার নির্দেশিত সামজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা পুরোপুরি সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এক হাজার বন্দী রাখার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কক্সবাজার জেলা কারাগারে ২৩মে বুধবার ৪২০৯ জন বন্দী রয়েছে। এর মধ্যে ২২২ জন মহিলা বন্দী।

তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা কারাগারে কোন বন্দী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।

পাঠকের মতামত