প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৯ ৭:১৮ এএম
ফাইল ছবি

এসএ পরিবহনের মাধ্যমে নিয়মিত ইয়াবার বড় চালান ঢাকায় আনা হতো বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে এসএ পরিবহনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত আছে। অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে হওয়ায় র‌্যাব সংশ্লিষ্টদের নাম প্রকাশ করেনি।

এরই মধ্যে র‌্যাব কর্মকর্তারা এসএ পরিবহনের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এদিকে এসএ পরিবহনের উত্তরার অফিস থেকে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ দু’জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় সোমবার মামলা হয়েছে। গ্রেফতার মো. কাশেম ও মোরশেদ আলীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। র‌্যাব-৩ এর দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রোববার ওই দু’জনকে র‌্যাব গ্রেফতার করে।

সূত্র জানায়, গ্রেফতার দু’জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্যই দিয়েছে। তারা বলছে, এর আগেও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান এসেছে। কখনোই তারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি। এসএ পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের সহায়তা করেছে। তারা সংশ্লিষ্ট অনেকের নামও বলেছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গ্রেফতার কাশেম ও মোরশেদ কক্সবাজারে বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটের ভেতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে কুরিয়ার করত। আর তারা নিজেরা আসত বিমানে। ঢাকায় তারা থাকত বিলাসবহুল হোটেলে। এসএ পরিবহনের মাধ্যমে আসা ইয়াবার চালান তারা নিজেরাই গ্রহণ করত।

আনসার বাহিনীর চুক্তিভিত্তিক সদস্য কাশেম দীঘদিন ধরে ইয়াবার কারবারে জড়িত। জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবদুল্লাহ আল মারুফ যুগান্তরকে বলেন, গ্রেফতার দু’জনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। তদন্তে ইয়াবা পাচারে যারাই জড়িত থাকুক না কেনো তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবা পাচারে এসএ পরিবহনের যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পার্সেলে কী পাঠানো হচ্ছে এ বিষয়ে এসএ পরিবহন কোনো যাচাই-বাছাই করে না। কোনো পণ্যই তারা স্ক্যান করে না।

ফলে পাচারকারীরা খুব সহজেই এসএ পরিবহনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতে পারছে। এক লাখ পিস ইয়াবা পাচারের ঘটনায় কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের কাছে এসএ পরিবহনের অফিসের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।

ওই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কিনা। রোববার রাতে এসএ পরিবহনের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সালাম, ম্যানেজার মো. মোস্তফা এবং সহকারী ম্যানেজার খসরুজ্জামানকে র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়েছে।

পাঠকের মতামত