
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার। প্রতিনিয়ত এখানে আগমন ঘটছে দেশী-বিদেশী অসংখ্য পর্যটক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কজে করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি।
বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে পর্যটকদের সাথে মতবিনিময় করেন। পর্যটকদের ভ্রমণ যাতে আনন্দদায়ক হয় সে জন্যে জেলা প্রশাসক নানারকম দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। সৈকত-পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, ভিক্ষুকমুক্ত-রাখা, ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষনসহ নানা ধরনের কর্মসূচী ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে পর্যটকদের হয়রানি রোধে শনিবার বিকেলে সমুদ্র সৈকতে সেবা প্রদানকারী প্রত্যেককে জেলা প্রশাসন কর্তৃক নাম্বার সম্বলিত নির্দিষ্ট রঙের পোষাক বিতরণ কর হয়।
লাবণী, সুগন্ধাসহ বিভিন্ন বীচ পয়েন্টে নাম্বার সম্বলিত নির্দিষ্ট রঙের পোষাক বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সাইফুল ইসলাম জয় (পর্যটন সেল) বলেন,জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে, এই পর্যটন নগরীকে আরো পর্যটনবান্ধব করতে নানা উদ্যাগ গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন।সমুদ্র সৈকতে নানা পেশার মানুষ পর্যটকদের সেবা প্রদান করছে। অনেক ক্ষেত্রে চেনা যায় না কে পর্যটক আর কে সেবা প্রদানকারী। ফলে অনেক পর্যটক হয়রানির শিকার হলে প্রতিকারপ্রাপ্তিতে অনেক সময় অভিযুক্তদের সঠিক পরিচয় দিতে পারেন না তারা। ফলে সঠিক অভিযুক্তকারীদের চিহ্নিত করা যায় না।
তাই এখন থেকে সমুদ্র সৈকতে সেবা প্রদানকারী প্রত্যেককে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদানকৃত নাম্বার সম্বলিত নির্দিষ্ট রঙের পোষাক পরিধান করতে হবে। এর ফলে যে কোন পর্যটক অভিযোগ দেওয়ার সময় পোষাকের রঙ এবং নাম্বার বলতে পারবে এবং জেলা প্রশাসন উক্ত অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুততার সাথে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এছাড়া এই পোষাক সমুদ্র সৈকতকে আরো আকর্ষনীয় করছে যা পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকেরা।
পাঠকের মতামত