প্রকাশিত: ০৪/১২/২০১৯ ৮:৪৭ পিএম , আপডেট: ০৪/১২/২০১৯ ৮:৫১ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার সন্দেহভাজন ১২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববারের মধ্যে এসব ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) এসব ব্যক্তিদের তথ্য দিতে হবে। বুধবার ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

তলবের তালিকায় রয়েছেন- টেকনাফের মধ্য জালিয়া পালং এলাকার মো. হোছেন ওরফে নাপাইগা হোছরের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান ও আব্দুল গফুর। একই এলাকার আব্দুল গফফারের ছেলে মোজাম্মেল হক, মালি হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল ও আজিজুল হক এবং আলী হোসেনের ছেলে আইয়ুব প্রকাশ ওরফে বাট্রা আইয়ুব।

আরও রয়েছেন- টেকনাফের চৌধুরী পাড়ার আব্দুল মতলবের ছেলে আব্দুস সাত্তার, ডেইল পাড়ার বশর হাজির ছেলে আব্দুল করিম, টেকনাফ বাজারের আবুল কাশেমের ছেলে মৌলভী আমান, লামা বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে ইসমাইল, সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুল জলিল ও আহম কবির প্রকাশ তনু মিয়ার ছেলে উসমান।

অ্যাকাউন্ট তলবের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কেউ-কেউ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। আবার ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অন্য যাদের নাম দিয়েছে সে তালিকায় রয়েছে অনেকের নাম।

জানা গেছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বিএফআইইউ। ব্যাংকগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তা ওই গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হবে। বিএফআইইউর চিঠিতে এসব ব্যক্তিদের নামে বর্তমানে বা ইতিপূর্বে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তাও জানাতে বলা হয়েছে। কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলে সব ধরনের কাগজপত্রসহ তালিকা, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইলসহ লেনদেনের বিবরণী চাওয়া হয়েছে।
আরও অ্যাকাউন্ট তলব: এদিকে অবৈধ ব্যাংকিং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এসটিসি ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে ব্যাংক শব্দ যুক্ত করতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। তবে সমবায় অধিদপ্তর থেকে সমিতির লাইসেন্স নিয়ে স্মল ট্রেডার্স কো-অপারেটিভ ব্যাংক বা এসটিসি ব্যাংক লিমিটেড নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তফসিলি ব্যাংকের মতো গ্রাহকদের থেকে আমানত নিচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি শাখা রয়েছে। সমবায় আইন অনুযায়ী, এ ধরনের সমিতি নিজেদের সদস্য ছাড়া কারও থেকে সঞ্চয় নিতে পারে না। এছাড়া একটির বেশি শাখা খোলার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি মোরসালিন আহমেদের স্ত্রী কাওছারী আজাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এ যুবলীগ নেতার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। কাওছারী আজাদের বাবার নাম আবুল কালাম আজাদ ও মায়ের নাম নাসরিন বেগম। দ্রুততম সময়ে তার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

৫ ব্যাংক মার্জার: গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি বিনিয়োগকারীদের

সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভর্নরের পদত্যাগ চাই। বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা না করে গভর্নর ব্যাংকগুলোকে মার্জার ...

১১ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হয়ে যাবে: গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, ৫ দফা দাবি আগামী ১১ নভেম্বরের ...

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে ঢাকাকে অনুরোধ করেছে নেপিদো

মিয়ানমারের সামরিক সরকার আগামী মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করছে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ...

পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহক চলতি মাসেই তুলতে পারবেন আমানতের অর্থ

আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক মার্জার বা একীভূত করতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ...