প্রকাশিত: ১০/১১/২০১৬ ৮:৫৯ পিএম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে তার ওয়েভসাইটেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। কিন্তু ৫৮তম সাধারণ নির্বাচেন জয়ী হয়েই সেই বিবৃতি সরিয়ে নিয়েছেন কট্টোরপন্থিদের নেতা ট্রাম্প।

গেলো ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে প্রথমে অস্থায়ী ও পরে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারণার সময় ঘোষণা দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু বিজয়ী হবার সঙ্গে সঙ্গেই বিবৃতি সরিয়ে নিলেন এ ধনকুবের।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নিজের ওয়েবসাইট থেকে বিবৃতিটি সরিয়ে নেন। অথচ ভোটের দিন সকালেও নিষেধাজ্ঞার ওই বিবৃতিটি তার ওয়েবসাইটে ছিল। এখন সেই লিংকে ক্লিক করলেই অন্যপাতা চলে আসে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ট্রাম্প বলেন, কী ঘটছে তা বুঝতে না পারা পর্যন্ত মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন বলেও তিনি জানান। এ নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে বিবৃতি দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থেই মুসলমানদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা। জাতিগত বৈষম্যের কোনো বিষয় এর সঙ্গে জড়িত নয়।

অবশ্য ট্রাম্পের ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য মুছে ফেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শেষ করেননি এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে মেলানিয়ার জীবনবৃত্তান্ত তার ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। ওই ঠিকানায় এখন ক্লিক করলেই দেখা যাবে ট্রাম্পের গলফ কোর্সের তথ্য।

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...